১৬ নভেম্বর ২০১৯
সম্প্রতি রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সারের উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই ওষুধ সম্পর্কে সতর্কবার্তাও জারি করেছে সংস্থা দুটি। এরপরই এ নিয়ে বিশ্বে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
সংস্থা দুটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্যান্ডোজের তৈরি রেনিটিডিন ক্যাপসুলের মধ্যে ‘এন-নিট্রোসডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ)’ নামে পরিবেশ দূষণজনিত উপাদানের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। এরপর কোম্পানিটি তাদের এই ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এফডিএ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থার সতর্কবার্তা জারির পর, বাজারে রেনিটিডিন বন্ধ ও বাজারে থাকা ওষুধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি।
মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরীজ লিঃ, ভারত এবং মেসার্স এসএমএস লাইফসাইন্স, ভারত হতে আমদানিকৃত রেনেটিডিন হাইড্রক্লোরাইড কাঁচামাল (API) এবং উক্ত কাঁচামাল হতে উৎপাদিত ফিনিশড প্রডাক্ট এর নমুনা অত্র অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় WHO এক্রিডিটেড ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করা হয়। উক্ত পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষাকৃত কাঁচামাল ও ফিনিশড প্রডাক্টেও ‘এনডিএমএ’ গ্রহণযোগ্য মাত্রার অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে কিছু কোম্পানির ঔষধ বন্ধ ছিল এবং কিছু কোম্পানির ঔষধ চালু ছিল। কিন্তু গত ১৩ নভেম্বর ২০১৯ রোজ রবিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির আলোচনা শেষে রেনিটিডিনের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এটি হুমকিস্বরূপ তাই সবাই একমত হয়ে রেনিটিডিন জাতীয় ঔষধ উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ ও রপ্তানি স্থগিত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রে,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর
স্টাফ রিপোর্টার/জান্নাত বিনতে হোসেন