জমজ মাথার বাচ্চাদুটো এখন দেশ জুড়ে পরিচিত। চিকিৎসকদের জন্য এটা অসম্ভবকে সম্ভব করবার প্রচেষ্টা। পূর্বের ঘটনা সবারই প্রায় জানা।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে ২০১৬ সালের ১৬ জুন মাথা জোড়া লাগা যমজ রাবেয়া ও রোকাইয়ার জন্ম হয়।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয় এ দুই শিশুকে।এর পর চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তাদের হাঙ্গেরিতে পাঠানো হয়।
হাঙ্গেরির চিকিৎসকদের প্রাথমিক প্রায় ত্রিশোর্ধ ছোট বড় অপারেশনের পরে দেশে নিয়ে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শুরু করা হয় ফাইনাল অপারেশন।
গত পহেলা আগস্ট বিশাল টিম নিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শুরু হয় এ অপারেশন। টানা ৩৩ ঘন্টা চলে।নিউরোসার্জন, প্লাস্টিক সার্জন, জেনারেল সার্জন, অ্যানেস্থেসিয়লজিস্টসহ আরো বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ দেশি-বিদেশি চিকিৎসক ছিলেন এই টিমে। প্রতি আট দশ ঘন্টা পরপর একেক টিম অপারেশন ফিল্ডে ঢুকেছেন এবং অন্য টিম বিরতি নিয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন। জোড়া মাথার অস্ত্রোপচারের পর দুই বাচ্চাই স্থিতিশীল রয়েছে এখন বলে জানান তিনি।
দেশি-বিদেশি ডাক্তারদের সমন্বিত ৩৩ ঘন্টার অস্ত্রোপচারের ফলে এই জোড়া মাথা আলাদা করা দেশের ডাক্তারদের জন্য একটি বিশাল সফলতা বলে মনে করেন ডা. সামন্তলাল সেন।
May allah bless rabeya. Ameen.