বইমেলা ২০১৯ এ, অন্যান্য বছরের মতই চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইমেলার একটি আলোচিত বই হল, ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক। বইটি মেডিকেল ক্যাম্পাসকে পটভূমি করে, রম্যের আদলে লেখা। বইটি আলোচনায় আসার মূল কারন হল, বইটির লেখক পরিচিতি। বইটি সম্পর্কে না জেনে, শুধুমাত্র লেখক পরিচিতি, প্রথমবার পড়লে আপনি নিঃসন্দেহে ধাক্কা খাবেন। রম্যের আদলে রচিত এই বইটির লেখক পরিচিতিতে নতুনত্ব এবং রম্যের ছোয়া দেয়ার জন্য ভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে লেখককে।
তারপরই সোস্যাল যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখক পরিচিতির অংশটুকু ভাইরাল হয়। আলোচনা সমালোচনার ভীরে লেখক রাকিব আল হাসান, চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের ফোরাম ‘প্ল্যাটফর্মে’ একটি পোস্টের আলোচনায়, কমেন্টে তার পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন।
রাকিব আল হাসান জানান, “ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক আমার ষষ্ঠ প্রকাশিত বই। ১৭ বইমেলায় রম্যের একটি পূর্ণাঙ্গ বই ছিলো। এছাড়াও অনেক বছর ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় সব পত্রিকায় রম্য, স্যাটায়ার লিখেছি। ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক বইটি মেডিকেল ক্যাম্পাসকে পটভূমি করে রম্যের আদলে রচিত। সেজন্য প্রকাশকসহ প্রিয়জনেরা চেয়েছিল লেখক পরিচিতিটা একটু রম্যের ধাঁচে স্যাটায়ার করেই হোক। সেজন্য এই ফ্ল্যাপটি লেখা। লেখাটি পড়েই বুঝা যায় সার্কাজম করে লেখা হয়েছে। সুতরাং জনে জনে বিশ্লেষণ করে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না। যেখানে গতকাল বইটি প্রকাশের পর বই নিয়ে কথা বলার চেয়ে এখন ফ্ল্যাপ নিয়ে কথা বলতে বলতে আমি এক প্রকার প্রায় ক্লান্ত। জনে জনে মনোরঞ্জন করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আমার পক্ষেও না। এত এনার্জি আমার নেই। তবু যারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ, এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আপনারা সমালোচনা করেন, এতে আমার মাথাব্যথা নেই। কিন্তু অকথ্য ভাষায় গালাগালি মেনে নিতে কষ্ট হয়। তবু আর কি করা। যেদেশে ধর্ষণ, গুম, হত্যার পর বর্জ্রকন্ঠে আওয়াজ দিতে মানুষ ভয় পায়, অথচ সেফুদা, সালমান মুক্তাদিরের ঘটনা জাতির কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাদের কাছ থেকে আমার প্রত্যাশার পারদটা খুব একটা বেশি না।
অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ আমার সাথে দেখা করার ইচ্ছাপোষণ করেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। মেলায় আসবেন। কথা হবে, আড্ডা হবে, চায়ের চুমুকে তুমুল গল্প হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।”
উল্লেখ্য, রাকিব আল হাসান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে, চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করেন এবং প্রথম আলোর ফান ম্যাগাজিন রস+আলো’র সাথে যুক্ত ছিলেন।