প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ০৯ মে, ২০২০
ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিলেও বেতন পাচ্ছিলেন না সরকারি হাসপাতালের এক হাজারের বেশি চিকিৎসক। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় উপজেলা, জেলা, এমনকি মেডিকেল কলেজ পর্যায়ের চিকিৎসকদের এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়েছে, অর্থকষ্টে থেকেও দিনরাত কাজ করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন তারা।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে নিয়োগ পাওয়া ৩৯তম বিসিএসের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বেশি যা সরকারী চাকরীতে সদ্য প্রবেশ করে চিকিৎসকদের মর্মাহত করছে৷
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারদের সংগঠন হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এই সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। দেশের সকল সরকারি কর্মকর্তার ন্যায় সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বেতনের বিল জমা নেওয়া ‘আইব্যাস++’ নামক একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এ সফটওয়্যারে প্রত্যেক চিকিৎসকের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকে। নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসের বেতন বিল জমা দিতে হয়। চিকিৎসকরা নিজেই সেল্ফ ড্রয়িং অফিসার বলে তাদের বেতনের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের সাক্ষরের প্রয়োজন হয় না।
চিকিৎসকেরা বলেছেন, দেশের অনেক উপজেলা থেকে সফটওয়্যারে বেতন বিল জমা দেওয়া যাচ্ছে না। বেতন বিল জমা দিতে গেলে ‘ইনসাফিশিয়েন্ট বাজেট বা অপর্যাপ্ত বরাদ্দ’ লেখা আসছে। সংশ্লিষ্ট হিসাব বিভাগ বলছে, চিকিৎসকদের বেতন বাবদ বরাদ্দ না আসায় এমন সমস্যা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসকেরা সম্মুখসারির যোদ্ধা। এই কঠিন সময়েও সঠিক সময়ে চিকিৎসকদের বেতন না হওয়া অমানবিক ও দুঃখজনক।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম থেকেই বলে আসছিল তারা চেষ্টা করছেন। অবশেষে গত ৭ মে, ২০২০ তারিখে পরিচালক (অর্থ) ডা. শেখ মনজুর রহমান সাক্ষরিত এক নির্দেশনার মাধ্যমে জানানো হয় ইতিমধ্যেই জুন ২০২০ পর্যন্ত বেতন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এখন সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগের কথা বলেন। এছাড়াও অধিকতর সহযোগীতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) ডা. ফরিদা ইয়াসমিন (মোবাইল নং ০১৭১১১৮৯৯৯৪) এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে৷
ইতিমধ্যে প্রতিবেদকের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পাঁচ জন চিকিৎসকদের সাথে কথা হয়। তারা জানান, ইতিমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাজেট এন্ট্রি হয়েছে। তারা বেতন বিল জমা দিতে পেরেছেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একজন চিকিৎসক জানান বাকী সহকর্মীদের বেতন বিল সফটওয়্যার নিলেও তারটি নিচ্ছে না। তবে এটি কেন হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট হিসাব বিভাগ দেখছে এবং তারা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক