প্ল্যাটফর্ম নিউজ
শনিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
আজ ১৮ই এপ্রিল, ২০২০, শনিবার সাতক্ষীরায় দুপুর ২ টায় কোভিড-১৯ সন্দেহে এক রোগীকে গ্রাম পুলিশ সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরায় ভ্যানযোগে নিয়ে আসে। এ নিয়ে সতর্কতা জারি করতে সিভিল সার্জন (সাতক্ষীরা ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জরুরী বার্তা প্রদান করেন। তিনি লিখেন-
জরুরী বার্তাঃ
——————-
আজ দুপুর ২ টায় জেলার বাইরে থেকে আসা সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীকে একজন গ্রাম পুলিশ সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরায় ভ্যানযোগে নিয়ে আসে। যথাযথ নিয়ম মেনে তার শারীরিক পরীক্ষা করে তার শারীরে উচ্চ তাপমাত্রার উপস্থিতি, ডিজওরিয়েন্টশন ও উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় সম্ভাব্য ভ্রমনের ইতিহাস থাকায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসোলেটেড ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
★উল্লেখ্য সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগীকে আলীপুর চেকপোস্ট নিকটবর্তী দীঘিরপাড় এলাকায় অবচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে এবং ঐ ব্যক্তিকে আশেপাশের গ্রামের মানুষ সনাক্ত করতে না পারার পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের খবর দেয়।পুলিশ সদস্যরা ঐ ব্যক্তির অবচেতন অবস্থা ও কোভিড-১৯ সন্দেহে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরায় প্রেরণ করে।
★আরো উল্লেখ্য তাকে আনায়নকারী গ্রাম পুলিশ ও ভ্যানওয়ালাকে জীবাণুমুক্ত করা হয় ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (PPE) প্রদান করা হয়।পরে জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে জরুরী বিভাগকে জীবাণুমুক্ত করা হয়।উক্ত সন্দেহ জনক কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা গ্রাম পুলিশ, ভ্যানওয়ালা এবং একজন এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়।রোগীর শারীরিক পরীক্ষার সময় চিকিৎসক,নার্স ও প্যারামেডিকস যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (PPE) পরিধান করেন।তবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় N95 মাস্কের অপ্রতুলতা থাকায় তা ঐ মুহুর্তে সরবরাহ করা যায়নি।তবে এর বিকল্প হিসাবে KN95 বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় এবং অধিক সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সেবাদানকারীরা ফেসশীল্ড ব্যবহার করেন।
★কেউ যদি উপরে বর্ণিত সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তাকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে যাবার জন্য অনুরোধ জানান হল।
★প্রকাশ থাকে যে,উক্ত সন্দেহ জনক কোভিড-১৯ রোগী কোন কথা না বলায় তার নাম, পরিচয় বা,শারীরিক উপসর্গের ইতিহাস জানা সম্ভব হয়নি।তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের PCR ল্যাবে পাঠানো হবে এবং বর্তমানে সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসোলেটেড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
★সবাই সতর্ক হোন।গ্রহণযোগ্য অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া বাড়ীর বাইরে আসলে আপনার সামাজিক অবস্থান বা,পেশা যাই হোক না কেন সংক্রামক ব্যাধি আইন -২০১৮ এর ক্ষমতা বলে জেল বা,জরিমানা বা, উভয় শাস্তি প্রদান করা হবে।
আসুন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা করি।
(-সিভিল সার্জন,সাতক্ষীরা, ১৮/০৪/২০২০,১৭ঃ০০)
ছবি সংযুক্তি
তথ্যসূত্র: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=754852168381739&id=100015708879595
নিজস্ব প্রতিবেদক
হৃদিতা রোশনী