৭ই এপ্রিল, ২০২০
দেশজুড়ে যখন একদিকে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন, মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন অন্যদিকে সরকারের আদেশ ও করোনার ভয়াবহতা তোয়াক্কা না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শত শত মানুষ মেতে উঠেছে সংঘর্ষের আনন্দে। কোয়ারান্টাইন ভেঙ্গে চলছে সংঘর্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু অসচেতন মানুষের এমন আচরনে আশ্চর্য পুলিশ,হতাশ জেলার সচেতন নাগরিকগন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের এই অসচেতনতা ও মারামারি প্রায় ২ মাস ধরে চলছে বলে জানিয়েছেন এই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় প্রতিদিন ই বিভিন্ন অযুহাতে তারা লিপ্ত হচ্ছে সংঘর্ষে। সামান্য লুডু খেলা নিয়েও থেমে নেই তাদের মারামারি। গত বুধবার লুডু খেলা কে কেন্দ্র করে টোটা বল্লম নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় প্রায় শতাধিক মানুষ,আহত হয় প্রায় ২০ জন। শুক্রবার বাহাদুর পুুুুরের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। রোববার মাটি কাটা শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তুমুল মারামারিতে প্রাণ হারান আরো একজন।
সেখানকার সহকারী পুলিশ সুপার বলেন সরকারের আদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ইউনিয়নের মেম্বার ও সাবেক মেম্বারদের সাহায্যের প্রয়োজন অথচ কিছু কিছু সংঘর্ষে সেসব ফ্রন্ট লাইন কর্মকর্তাদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে জানান।
গত ২ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমন সংঘর্ষের সংখ্যা প্রায় ২৫ যেখানে আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ, নিহত ২। আর এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে প্রায় হাজার খানিক মানুষ। তবে তারা নিজেদের সচেতন নাগরিক দাবি করে বলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। করোনা সচেতনতায় তারা মাস্ক ও গ্লাভস পরে মারামারি করেছেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লাঠি ও টোটা ব্যবহার করেছেন।
সেখানকার পুলিশ প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছেন এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে। এমন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে করোনার প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ কারবে বলে মনে করছেন সেখানকার সচেতন নাগরিক ও পুলিশ প্রশাসন।
স্টাফ রিপোর্টার
নুরুন্নাহার মিতু