শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের “ডিপ্লোমা চিকিৎসক” নামকরণের অপতৎপরতা, নীতি নির্ধারকদের অস্বাভাবিক নির্লিপ্ততা, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির অনৈতিক ও আইনবর্হিভূত মার্কেটিং এবং চলমান আমলাতান্ত্রিক কূটচাল রুখতে “অন্তরে বিষের বালি আর কত মুক্তো ফলাই?” শীর্ষক গণশুনানি পূর্ব নির্ধারিত সময়েই (০৭ মার্চ, রাত ১০০০ ঘটিকা) শুরু হয়েছে। গণশুনানিতে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছন।
প্ল্যাটফর্মের এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও গণশুনানি চলমান রয়েছে। এ গণশুনানিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের পক্ষ থেকে আদালতে তিনটি রিট চলমান রয়েছে।
১. ২০১৩ সালে করা ডাক্তার পদবী ব্যবহার সংক্রান্ত, ২৭৩০/২০১৩ নং রিট
২. ২০২৪ সালে করা ডাক্তার পদবী সংক্রান্ত বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ এর ধারা ২৯ কে চ্যালেঞ্জ করে, ১৩০৪৬/২০২৪ নং রিট এবং
৩. ২০২৪ সালে করা আপডেটেড ঔষুধ, এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বৈধতা চেয়ে, ১৩৪৬২/২০২৪ নং রিট।
সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২৭৩০/২০১৩ নং রিট শুনানি ৯১তম বারের মত পেছানো হয়। হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া এবং আপডেটের ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বৈধতা মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টদের দেয়ার মাধ্যমে শহর অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীসহ প্রান্তিক অঞ্চলের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা হুমকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়াও অনেক ভূয়া চিকিৎসক, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী বা স্যাকমোরা নামের পূর্বে ডা. ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদের প্রতারণা করছেন বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইন বিশেষজ্ঞ।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস