টেকনোলোজি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো অপারেশনের লাইভ স্ট্রিম দেখলো বিশ্ব।
সার্জারির ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩ এ।
যদিও সার্জারিটি সম্পন্ন হয় রয়্যাল কলেজ অফ সার্জন্স, ইংল্যান্ড এ । তবুও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসে মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং সার্জারীর ট্রেইনিরা ল্যাপারোস্কোপিক কোলোরেক্টাল সার্জারীর এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করলো যেনো তারা অপারেশন থিয়েটারেই উপস্থিত আছেন।
বাংলাদেশের বিয়ানীবাজারের কৃতি সন্তান ডাঃ শাফি আহমেদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয় অপারেশনটি।
গুগল গ্লাসের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরিয়ে পুরো অপারেশন থিয়েটার দেখতে পারার অনুভূতি সত্যিই বিস্বয়ের বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। রয়্যাল কলেজ অফ সার্জন্স (RCS) এর বাংলাদেশ সেন্টার “রাহেটিড” এই অপারেশনটি দেখানোর আয়োজন করেন তাদের প্রধান কার্য্যালয়ে। সেখানে প্রফেসর ডাঃ রকিবুল আনোয়ার স্যারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পুরো অপারেশনটি দেখার সুবর্ণ সুযোগ উপোভোগ করেন রাহেটিড এর সার্জারি ট্রেইনি, প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত কুইজ বিজয়ী এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
অপারেশনটি বিকেল ৫:৩০ এ শুরু হয়ে রাত ৮ টা নাগাদ শেষ হয়।
অপারেশন শুরুর আগে ডাঃ রকিবুল আনোয়ার স্যার প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত কুইজ বিজয়ী এবং উপস্থিত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ছোট্ট ব্রিফিং করেন। যেখানে উঠে আসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিভিন্ন দিক এবং বাংলাদেশে রাহেটিডের কার্যক্রমের অংশবিশেষ।
একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি মনে করেন, “Every teacher should teach in every moment may be in the class, in home or even in any get together program. This should be the way of teaching”.
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মতে এধরনের টেকনোলোজির ব্যবহার মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং শিক্ষানবিশদেরকে সার্জারিতে ক্যারিয়ার করতে উৎসাহিত করবে অনেকগুন।
প্ল্যাটফর্মের পক্ষ্ থেকে কৃতজ্ঞতা থাকছে প্রফেসর ডাঃ শাফি আহমেদ স্যার এবং প্রফেসর ডাঃ রকিবুল আনোয়ার স্যারের জন্য, তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে অতি সাধারন টেকনোলোজি ব্যবহার করে উন্নত শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে সার্জারির ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য।
তথ্য ঃ প্ল্যাটফর্ম প্রতিনিধি আয়েশা হায়দার (ঊর্মি), জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ