১৭ নভেম্বর ২০১৯
বিশ্বব্যাপি ধূমপায়ীদের জন্য সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভ্যাপিং (Vaping) দ্রুতই জনপ্রিয় হচ্ছে। ভ্যাপিং এ নিকোটিনের মাত্রা নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এমনকি জিরো নিকোটিনেও ভ্যাপিং করা যায়।
ভ্যাপিং কোম্পানিগুলো দাবী করছে ভ্যাপিং এ কোন কোল ডাস্ট বা কার্বন না থাকায় তা ফুসফুসের জন্য সিগারেটের মত বেশি ক্ষতিকারক না। এরকম দাবী, প্রচারণা আর ভ্যাপিং এর অতি আধুনিকায়ন ভ্যাপিং কে দ্রুতই জনপ্রিয় করে তুলছে। ভ্যাপিং প্রতিষ্ঠানগুলো আরোও দাবী করেছে, ধূমপায়িদের জন্য এটা সিগারেটের অভ্যাস ছাড়ানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। নানা রকম ফলের বাহারি ফ্লেভার ব্যবহারও এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
কিন্তু গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, ভ্যাপিংও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অন্য যেকোনো নেশাজাতীয় দ্রব্যের মতোই ভ্যাপিং নেশা সৃষ্টি করে। সিগারেটের চেয়ে কম পরিমাণে হলেও এতে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। আর যেহেতু এতে নিকোটিনের মাত্রা পরিবর্তন করা যায়, নেশার এক পর্যায়ে মানুষ ধীরে ধীরে এই মাত্রা বাড়ানো শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স সেন্টারের গবেষক মাইকেল ব্লাহা এর মতে, যেসব তরুণ হয়তো সচেতনতার দরুন সিগারেটের প্রতি কখনোই আগ্রহী হত না, তারাও এখন ভ্যাপিং এর অতি প্রচারণায় এতে আগ্রহী হচ্ছে, এবং শেষ পর্যন্ত নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ভ্যাপিং(Vaping) নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। গত ১ বছরে ভ্যাপিং এর কারনে তরুণ বয়সে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেদেশের সরকারগুলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার ভ্যাপিং (vaping) এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তুরস্কের সরকার আগেই সেদেশে ভ্যাপিং ঢুকতে দিচ্ছে না।
আমাদের দেশেও ভ্যাপিং নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরী।
তথ্যসূত্র :
Dr. Lutful Hoq Rifat
Sylhet M. A. G. Osmani Medical College
স্টাফ রিপোর্টার/ওয়াসিফ হোসেন