সিজার এপিলেপ্সি
ব্যাসিক কনসেপ্ট
সিজার হচ্ছে একপ্রকার নিউরোলোজিকাল সমস্যা, ব্রেইনের অস্বাভাবিক ইলেক্ট্রিক্যাল ডিসচার্জের জন্য
এইটা হয়ে থাকে, সিজারে মূলত Movement আর আচরণগত কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়…
Seizure is an abnormal electrical discharge in brain that cause an abnromal changes in movement and mood and behaviour.
সিজার কোনো কোনো মানুষের জীবনে কেবল একবার হয়ে থাকে, যাকে single episodic seizure বলা হয়, আবার কারো বারবার হয়ে থাকে, এইটাকে
Recurrent seizure বলে।
এপিলেপ্সি. বারবার সিজার আক্রান্ত হলে তখন এই অবস্থাকে বলে এপিলেপ্সি।।
Recurrent seizure is called Epilepsy
এপিলেপ্সি কে বাংলাতে মৃগি রোগ বলা হয়।
সিজারের উপসর্গ:
১.
মাংসপেশি সংকুচিত হওয়া, কিংবা সহজে বললে
শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি আসা কিংবা পুরো শরীরে খিঁচুনি আসা।।।
২..হাত পায়ে অস্বাভাবিক ভাবে খিঁচুনি এসে হাত পা
ভাঁজ হয়ে যাওয়া।
৩.. মাংশপেশি সমূহ শক্ত হয়ে যাওয়া #Muscle
Rigidity..
৪.. হাত পায়ে অস্বাভাবিক ভাবে ঝাঁকুনি আসা।
৫.. অচেতন হয়ে যাওয়া
৬.. জিহবায় কামড় দেওয়া
৭.. হঠাৎ করে শরিরের কোনো অংশ অবেচতন হয়ে যাওয়া…
৮. খিঁচুনি এসে দাড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যাওয়া।
৯…খিঁচুনির সাথে প্রস্রাব পায়খানা করে দেওয়া।।
১০… মুড অফ হয়ে যাওয়া।।
সিজার অ্যাটাক হবার কিছুটা সময় পূর্বে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যা থেকে বুঝা যাবে যে, সে কিছুক্ষন পর
সিজারে আক্রান্ত হবে….
যেমন..
১..আচরণে পরিবর্তন আসা
২..ইরিট্যাবিলিটি কিংবা বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি
হওয়া
৩..Anxiety
৪. ঘুম কমে যাওয়া
৫…হ্যালুসিনেশন হওয়া
৬..photophobia হওয়া
প্রকারভেদ :
Seizure কে প্রথমত দুইভাগ ভাগ করা যায়..
Focal Seizure
Generalized Seizure
ফোকাল সিজার:
এই সিজারে ব্রেইনের যে কোনো নির্দিষ্ট এক পাশে অস্বাভাবিক ইলেক্ট্রিক্যাল ডিসচার্জ হবে, এবং শরিরের নির্দিষ্ট একটি অংশে সিজারের উপসর্গ কিংবা খিঁচুনি, ঝাকুনি ইত্যাদি দেখা দিবে.. ফোকাল সিজার কে
partial seizure ও বলা হয়।।
ফোকাল সিজারের উপসর্গ :
১.
যে কোনো এক পাশের শুধু হাতে কিংবা পায়ে কিংবা একই পাশের হাতে পায়ে ঝাকুনি কিংবা খিঁচুনি আসবে,,
২.. Dizziness কিংবা মাথা ঘোরানো
৩.. দেখতে সমস্যা হওয়া,
৪. অচেতন হয়ে যাওয়া
partial seizure এ আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে গেলে এইটাকে complex partial seizure বলে।
আর যদি অচেতন না হয়, তাহলে এইটাকে simple partial seizure বলে।।।
Generalized Seizur
যদি ব্রেইণের উভয় অংশে অস্বাভাবিক ইলেক্ট্রিক্যাল
ডিসচার্জ হয়, তবে এই অবস্থাকে Generalized Seizure বলে।। এতে করে উপসর্গ শরিরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে সিমাবদ্ধ থাকবেনা, পুরো দেহজুড়ে
উপসর্গ দেখা দিতে পারে।।
..Generalised Seizure এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে.
১.
Generalised Tonic Clonic Seizure
(ক)Tonic Phase
এই অবস্থায় muscle tone অস্বাভাবিক ভাবে পরিবর্তন হবে, Muscle spasm হবে, মাংসপেশি শক্ত
হয়ে যাবে। Respiratory পেশি আর ল্যারিঞ্জিয়াল পেশি সমূহের Spasm এর কারণে রোগী কান্নার মত শব্দ করবে। এই অবস্থা সাধারনত ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
(খ)Clonic Phase, Clonus দেখা দিবে, Clonus বলা হয় Jerky movement কে।।
Muscle spasm এর পরপর হাত কিংবা পায়ে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি/খিচুনি আসবে, তখন জিহবায়
কামড় পড়তে পারে, মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে পড়বে,
অনৈচ্ছিক মূত্র/মল ত্যাগ হয়ে যেতে পারে।
এই অবস্থা ১-৩ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়.
(গ)Postictal Phase
মাংসপেশি সমূহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে, হাত পা যা
ভাঁজ হয়ে গিয়েছিলো তা ছেড়ে দিবে , পেশেন্ট কিছু সময়ের জন্য অচেতন থাকবে, কয়েক মিনিটের মধ্যে
Consciousness হয়ে যাবে, তবে কনফিউজড এবং
Disoriented থাকবে।
(Disoriented:: স্থান কাল পাত্র সমপর্কে অবচেতন থাকাকে Disoriented বলে।।)
এবং এর পর প্রায় ১ ঘন্টা পর্যন্ত মাথা ব্যাথা থাকতে পারে।। এরপর পরিপূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যাবে যদি পড়ে গিয়ে head injury না হয়ে থাকে।।
উপরের তিন বৈশিষ্ট থাকলে এইটাকে বলে
Generalised Tonic clonic Seizure, গ্র্যান্ডমাল সিজার ও বলা হয়..
২. Atonic Seizure
এই সিজারের ক্ষেত্রে muscle tone loss হয়ে যাবে,
যার কারণে Muscle Control থাকবেনা,,রোগী
দাড়ানো থেকে পড়ে যাবে,, এই সিজারের ক্ষেত্রে হেড
ইঞ্জুরি হবার রিস্ক বেড়ে যায়।।
৩. Myoclonic Seizure
এই ক্ষেত্রে হাত কিংবা পায়ের মাংসপেশিতে jerky movement দেখা দেয়,, ঝাঁকুনি এসে হাত কিংবা
পায়ের পেশিসমূহ Twitching হয়ে যায়।
৪. Absence Seizure
রোগী হঠাৎ করে অবচেতন হয়ে যায়, তার শরিরের
যে কোনো একটি অংশ হঠাৎ করে সংজ্ঞাহীন হয়ে
যায়, দেখা যাবে হঠাৎ একটি হাত ২০-৩০ সেকেন্ডের
জন্য থমকে যায়, কিংবা হঠাৎ করে পেশেন্ট উপরের
দিকে কিংবা কোনো দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে,
তাকে ডাকলে কিংবা নাড়া দিলেও সে বলতে পারেনা
এইটা মূলত ১৪ বছরের নিছের বাচ্চাদের হয়ে থাকে।
সিজারের কারণ কি?
১। primary cause : idiopathic অর্থাৎ হঠাৎ ব্রেইণের মধ্যে কোনো Organic pathology ব্যতীত অস্বাভাবিক ইলেক্ট্রিক্যাল ডিসচার্জ হয়, যার কারণে
সিজার হয়ে থাকে।। এইটাই সবচেয়ে কমন..
২..Secondary Cause::
(ক) মস্তিস্কে কোনো আঘাত পাওয়া
(খ) লিভার সিরোসিস
(গ) হার্ট ফেইলুর
(ঘ) কিডনি ফেইলুর
(ঙ) মেনিনজিস এবং ব্রেইণ ইনফেকশন যথা
মেনিনজাইটিস, Encephalitis, Cerebral
abscess..cerebral malaria, Tuberculosis
ইথ্যাদি।।
(চ) ইনফ্লামেশন : SLE, Vasculitis ইত্যাদি
(ছ) Febrile seizure. ৬ মাস থেকে ৫ বছরের
বাচ্চাদের হয়ে থাকে,
আরো দুইটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে Hypoglycemia
এবং Electrolyte Disturbance.।
চিকিৎসা:
পেশেন্ট কে তার রোগ সমপর্কে কাউন্সেলিং করবে।।
কোনো Organic সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা দিবে, এবং প্রোপাইলেক্সিস হিসাবে Anti-Epileptic ড্রাগস ব্যবহার করবে।।
পরামর্শ
কারো সিজার অ্যাটাকের সময় আশেপাশে যারা থাকবে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তির যেনো হেড ইঞ্জুরি না হয়, তা সুনিশ্চিত করা। গ্রামে এই রোগকে খুব নেগেটিভ ভাবে দেখা হয়, মৃগি রোগ হিসাবে পরিচিত। গ্রামের মানুষ অজ্ঞতাবশত সিজার অ্যাটাকের সময় রোগীর নাকের সামনে জুতা ধরে রাখে ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য, আর মনে করে জুতার ঘ্রাণে সুস্থ হয়ে যায়, এইটা অযৌক্তিক কথা, সিজারে আক্রান্ত হলে একমাত্র কাজ হচ্ছে,, রোগীকে শুধু দূর্ঘটনার ঝুকির স্থান থেকে দূরে সরিয়ে বাম কাঁত করে রেখে দেওয়া। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কমপক্ষে একজন মানুষকে পাশে থাকতে হবে। খিঁচুনি অবস্থায় মুখে কিছু দেওয়া যাবেনা।
আবার অনেকে এপিলেপ্সি কে জ্বীনের সমস্যা বলে তান্ত্রিকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে,, এতে করে পেশেন্টের মধ্যে সাইকোলোজিক্যাল সমস্যা তৈরি হয়।
তাই এইসব না করে নিউরোলোজিস্ট এর অধিনে চিকিৎসা নিবে।। কারণ সিজার অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে, পুকুরে কিংবা নদিতে কিংবা রাস্তাঘাটে সিজারে আক্রান্ত হলে এক্সিডেন্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তাই আসুন, সঠিক চিকিৎসা নিতে সবাইকে উৎসাহিত করি।।
Ismail Azhari
DCMC: 13-14
Platform feature writer
Sumaiya Nargis
Session :2016-17