প্ল্যাটফর্ম নিউজ
সোমবার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
ওজোন স্তর (Ozone layer) হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কিমি উপরে অবস্থিত। প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করা এই ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে সরাসরি পৃথিবীতে আসতে বাধা প্রদান করে থাকে। সূর্যের এই অতিবেগুনি রশ্মির প্রাণীর শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি সহ রয়েছে নানান ধরনের বিরূপ প্রভাব। তাই ওজোনস্তর ছাড়া যে কোনো জীবের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা দূরহ ই নয় বরং এক প্রকার অসম্ভব বলা চলে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব উন্নত হবার সাথে সাথে ক্ষয় হতে থাকে ওজোনস্তর। মানুষ কর্তৃক ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের অত্যাধিক ব্যবহার যেমন: স্প্রে ক্যান, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতির মাধ্যমে ওজোন স্তরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি সাধিত হয়। এ ক্ষতি উত্তরণের জন্য ১৯৮৭ সালে “মনট্রিল প্রটোকল” নামক আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবুও দৈনন্দিন জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ার সাথে সাথে দূষণের মাত্রাও ক্রমশ বেড়েই চলছিল। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছেন এক চমকপ্রদ খবর। আর্কটিকের ওপর যে বিশাল এলাকার ওজন স্তরে ক্ষয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পূরণ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সম্পর্কে কোপারনিকাস অ্যাটমোস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (সিএএমএস) ও কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) টুইটারে বায়ুমণ্ডলের নতুন কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ওজন স্তরের সেরে ওঠার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ওজোনস্তর এর এই ক্ষয় সেরে ওঠার সঙ্গে কোভিড-১৯ এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও কলকারখানা বন্ধ থাকার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনো সুনিশ্চিত নয়। বরং মেরু প্রবাহের ফলে সৃষ্ট ঘূর্ণি যা কিনা মেরু অঞ্চলে ওজোন সমৃদ্ধ ঠাণ্ডা বায়ু বহন করে আনে তার কারণে এমন হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হৃদিতা রোশনী