আরিফুজ্জামান সৌখিন।
প্রাইম মেডিকেল কলেজ, রংপুরের ২০১৭-২০১৮ সেশনের ছাত্র ছিল। হাস্যোজ্জ্বল মুখ, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে আড্ডা আর ঘুরাঘুরিতে মেতে থাকত। পড়াশুনার ব্যাপারে বলতে গেলে ক্লাস টপার। লাইব্রেরিতে বন্ধুদের নিয়ে পড়াশুনা করত। কার কি সমস্যা নিজে গিয়ে জিজ্ঞাস করত, বুঝিয়েও দিত। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছোট-বড় সবার অনেক পছন্দের হয়ে গিয়েছিল খুব অল্প দিনেই।
তার বাবা রংপুরসহ সারা বাংলাদেশের প্যাথলজির একজন লেজেন্ড। সবার পরিচিত অধ্যাপক ডা. মোঃ সামসুজ্জামান স্যার। মা ডা. মোছাঃ জাহান আফরোজ খানম। বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান ছিল সৌখিন। পড়াশুনা করেছে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল, রংপুর জিলা স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুরে। এরপর ভর্তি হয় প্রাইম মেডিকেল কলেজের ১০ম ব্যাচে।
২০১৯ এর ২৪ মে, শুক্রবার। বন্ধুদের সাথে গিয়েছিল পুকুরে সাঁতার কাটতে। সাঁতার জানা ছিল একটু আধটু। অন্য বন্ধুরা নামতে নামতে সে নেমে পড়েছে পুকুরে৷ কিন্তু কে জানত এই পুকুর থেকে তাকে উঠতে হবে এমন ভাবে যাতে সবাইকে কাঁদতে হয়। হ্যাঁ, সেদিন ডুবে গিয়েছিল আমাদের আদরের, ভালোবাসার “সৌখিন”।
সৌখিন কে সারাজীবন মনে রাখবে প্রাইম মেডিকেল কলেজ। আর তারই স্মরণে ০৬-০৯-২০১৯ তারিখে কলেজ লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় “সৌখিন লাইব্রেরি”। সেই সাথে প্রাইম মেডিকেল কলেজ ক্লাব (পিএমসিসি) এর ব্লাড ব্যাংকের নাম রাখা হয় ” সৌখিন ব্লাড ব্যাংক”।
ওপারে ভাল থাকিস ভাই।
সোখিন এর লেখা একটি স্ট্যাটাসঃ
[“দীর্ঘদিন আমি আমার নিজের স্বত্তায় ফিরে যেতে পারছি না।
দীর্ঘদিন থেকে স্বত্তার গাজন হচ্ছে না।
মহাজীবন এর সত্য স্বাদ নিতে একেবারেই বেরিয়ে পড়বার দরকার। সেই বেরিয়ে পড়া বিভিন্ন কারনে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে।
কারন গুলো স্পষ্ট ভাবেই নিজের দূর্বলতা।
আজ অনেকদিন বাদে সেই মহাজীবন এর খোজে ফের।”]
প্রতিবেদকঃ মোঃ শাইফ মুনতাসির
প্রাইম মেডিকেল কলেজ
৯ম ব্যাচ।