শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে চূড়ান্তভাবে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস রুখতে পূর্বনির্ধারিত সময়ে (২১ ফেব্রুয়ারি, রাত ১০০০ ঘটিকা) শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের গণশুনানি। আজ রাত ১০ঘটিকায় ‘রুখে দাঁড়াই অপশক্তির বিরুদ্ধে জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ শ্লোগানকে ধারণ করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ক্ষমতাবহির্ভূত অপচিকিৎসা, ঔষধের অপব্যবহার এবং একের পর এক অনৈতিক ও আইনবহির্ভূত রিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে চূড়ান্ত ভাবে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস রুখতে চিকিৎসকদের এ গণশুনানি শুরু হয়।

প্ল্যাটফর্মের এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও গণশুনানি চলমান রয়েছে। এ গণশুনানিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করছে।
গণশুনানিতে কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নাই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ শুনানি কোন রাজনৈতিক শুনানি না, কোন রাজনৈতিক দলের আয়োজন না। এ শুনানি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে রক্ষার প্রচেষ্টা মাত্র।
উল্লেখ্য, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের পক্ষ থেকে আদালতে তিনটি রিট চলমান রয়েছে।
১. ২০১৩ সালে করা ডাক্তার পদবী ব্যবহার সংক্রান্ত, ২৭৩০/২০১৩ নং রিট
২. ২০২৪ সালে করা ডাক্তার পদবী সংক্রান্ত বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ এর ধারা ২৯ কে চ্যালেঞ্জ করে, ১৩০৪৬/২০২৪ নং রিট এবং
৩. ২০২৪ সালে করা আপডেটেড ঔষুধ, এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বৈধতা চেয়ে, ১৩৪৬২/২০২৪ নং রিট।
সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২৭৩০/২০১৩ নং রিট শুনানি ৯১তম বারের মত পেছানো হয়। হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
পাশাপাশি, এ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া এবং আপডেটের ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার বৈধতা মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টদের দেয়ার মাধ্যমে শহর অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীসহ প্রান্তিক অঞ্চলের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা হুমকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়াও অনেক ভূয়া চিকিৎসক, ডিএমএফ ডিগ্রিধারী বা স্যাকমোরা নামের পূর্বে ডা. ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদের প্রতারণা করছেন বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইন বিশেষজ্ঞ।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস