সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
স্বাস্থ্য খাতের তথ্য ও জ্ঞান পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা; সংক্ষিপ্ত রূপ – এআই। বৈশ্বিকভাবে এ খাতে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এআই। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিপুল কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়নশীল অনেক দেশেরই নেই। এজন্য এশিয়ার দেশগুলো এআই ব্যবহারের দিক থেকে পিছিয়ে আছে।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে রবিবার (১৩ অক্টোবর) শুরু হওয়া ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য শীর্ষ সম্মেলন’ এ এআই নিয়ে অনুষ্ঠিত এক অধিবেশনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। বিশ্বের প্রায় তিন হাজার গবেষক, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী জন-আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করতে পারে’ শীর্ষক এই অধিবেশনে বলা হয়, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছে। তবে উদ্বেগেরও বেশকিছু কারণ আছে।
মূল আলোচনা হয় স্বাস্থ্য খাতে এআই’র ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। শুরুতে ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ এর স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞ লুসি গিলসন বলেন, “স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় এআই কাজে লাগছে। আফ্রিকায় এর উদাহরণ আছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেরেমি ফারার বলেন, “এআই’র সুবিধা বেশি নিচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।”
তবে এআই একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে বলে মনে করেন ‘আমাজন ওয়েব সার্ভিস’ এর প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা– রোল্যান্ড ইলিং। তিনি বলেন,”ঝুঁকি হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের তথ্য নিয়ে প্রতিদিন কাজ হচ্ছে। রোগী তথ্য দিচ্ছে, কিন্তু রোগী ডেটাবেজের সুবিধা কতটা পাচ্ছে, সেটি বড় প্রশ্ন।”
সরকার কীভাবে এআইকে স্বাস্থ্যে ব্যবহার করতে পারে, তা নিয়ে অধিবেশনে বিশদ আলোচনা করেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি অ্যান্ড পাইরেসির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিইয়াং চ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল নানা বিষয়ে আরও ১৯টি পৃথক অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকঃ মঈন উদ্দীন আহমদ শিবলী