মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
স্বাস্থ্য সেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সার্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য গঠিত ‘স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন’ এর আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অংশীজনের সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করা, প্রস্তাবিত ‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং প্রস্তাবিত ‘৫ম স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসুচি (৫ম এইচপিএনএসপি)’ এর বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকঃ মঈন উদ্দীন আহমদ শিবলী
#বিসিএস পরিবার পরিকল্পনাকে, সম্পূর্ন ভাবে টেকনিক্যাল (মেডিকেল) ক্যাডার করা উচিত।
সম্পূর্ন ক্লিনিকাল ডিপার্টমেন্ট হওয়ার পরেও, DGFP এর মত এত বড় একটা ডিপার্টমেন্ট, নন-মেডিকেলরাই চালাচ্ছে।
বর্তমানে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সংস্কারের যে দাবি উঠেছে, তার সাথে সামন্জশ্য রেখে বলতে হয়, ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হলে, Technical Department থেকে Non-Technical দের বাদ দিতে হবে।
সংস্কারের দাবি গুলোর অন্যতম একটি দাবি হওয়া উচিত, BCS (Family Planning) Generel Cadre কে, যে কোন জেনারেল ক্যডারের সাথে মার্জ করে দেয়া হয়। কারণ, DGFP সম্পূর্ন মেডিকেল রিলেটেড হওয়ার কারণে, তাদেরও কাজ করতে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সাথে মার্জ করে দিলো, জেনারেলরাও কাজ করে, সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে 4টি অধিদপ্তর রয়েছেঃ
১) DGFP (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর)
২) DG Medical Education
৩) DG Nursing and Midwifery
৪) DG NIPORT
DGFP একটি ক্লিনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। কারণ, DGFP তে সব কাজই মেডিকেল রিলেটেড। এগুলো ডাক্তারদের কাজ। এখানে নন-মেডিকেলদের রাখা কোন ভাবেই যুক্তিযুক্ত না। ক্লিনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে নন ক্লিনিক্যালদের বাদ দিতে হবে।
DGFP কে, DGHS (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর মতো, সম্পূর্ন ডাক্তারদের ডিপার্টমেন্ট করা হোক। মেডিকেল রিলেটেড কাজ করার জন্য, নন-মেডিকেলদের দিয়ে, সম্পূর্ন আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট করে, সরকারের হাজার কোটি টাকা অপচয়ের কোন মানে হয় না।
#বলে_রাখা_ভালো, প্রয়োজন না থাকায়, ২০১৮ সালে, BCS (Economic) ক্যাডার কেও প্রসাশনের সাথে মার্জ করা হয়। বর্তমানে, সমবায় ক্যাডারকেও, অন্য জেনারেল ক্যাডারের সাথে মার্জ করার কথা উঠেছে।
বাংলাদেশে এখনও অনেক ডাক্তার বেকার। প্রতি বছর ৮-১০ হাজার ডাক্তার বের হচ্ছে। অথচ, মেডিকেল সেক্টরে জেনারেলরা বসে আছে।
#পরিবার_পরিকল্পনা_অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত হাসপাতাল সূমহঃ
✅ Maternal & Child Health Training Institute, Azimpur, Dhaka (১৭৩ শয্যা)
✅ Mohammadpur Fertility Services & Training Center, Dhaka (১০০ শয্যা)
✅ Maternal & Child Health Training Institute, Lalkuthi, Mirpur, Dhaka (২০০ শয্যা)
✅ শহীদ আরজু মনি, মা ও শিশু হাসপাতাল – হাজারীবাগ, ঢাকা (৫০ শয্যা)
✅ জেলা পর্যায়ে, ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (MCWC) = ৬০ টি (এগুলোকে ৩১ শয্যায় উন্নীত করণের কাজ চলমান)
✅ উপজেলা পর্যায়ে, ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (MCWC) = ১২ টি
✅ ইউনিয়ন পর্যায়ে, ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (MCWC) = ২১৩ টি
এই সকল হাসপাতাল গুলোতে সরাসরি, ডক্তাররা সেবা দিয়ে থাকে।
এছাড়াও সারা বাংলাদেশে, ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত, মোট ৩,২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র (UH&FWC) রয়েছে।
Union Health & Family Welfare Center = 3,290
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে (DGHS) তো, ডাক্তাররাই সব কিছু করছে, তাহলে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে (DGFP), নন-মেডিকেল পার্সন লাগবে কেনো????
যদি নন-মেডিকেলদের বাদ দেয়া না হয়, তাহলে, DGFP কে DGHS এর সাথে মার্জ করে দেয়া হোক।
#পরিবার_পরিকল্পনা_ক্যাডার যখন করা হয়, তখন এ ক্যাডারে আবেদনের যোগ্যতা ছিলো, এমবিবিএস অথবা সমতুল্য ডিগ্রী যেটা, ১৯৮৬ সালের গেজেট দেখলে বোঝা যায়। যা ১৯৮৮ সালে, তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মতিনের আমলে, আইন বহির্ভূত ভাবে, কারচুপি করে, লেনদেনের মাধ্যমে, চিকিৎসকদেরকে বন্ঞ্চিত করে, নন-মেডিকেলদের জন্য করা হয়েছে।