প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০
সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এর আগে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিলো- মসজিদ খোলা রাখা হলেও প্রতি ওয়াক্তের জামাতে পাঁচজনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। এই পাঁচজন হবেন মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম। এছাড়া শুক্রবারের জুমার নামাজের জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে গিয়ে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে এ ব্যাপারে আজ নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহর থেকে মসজিদে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
আজ বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়,
“করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে জনসমাগমের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা ও তারাবির জামাত সীমিত আকারে আদায়ের জন্য নির্দেশনা জারি করেছিল। দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাগণ পবিত্র রমজানের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দাবি জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) মেনে বেশ কিছু শর্তে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের অনুমতি প্রদান করেছে।”
শর্তগুলো হলো:
১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসবেন। মসজিদের প্রবেশদ্বারে ও ওজুখানায় স্যানিটাইজার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। তাঁদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে ও সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ, ৩ ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৩. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৪. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে। মসজিদে ইফতার ও সাহরির আয়োজন করা যাবে না।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান,
“আগামীকাল বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ পড়া যাবে। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলি থাকবে। এসব শর্তাবলির কথা সারাদেশের মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়