এখন ছোট বড় সবার হাতে স্মার্ট ফোন। শুধু কি ফোন, আরো আছে ট্যাব, প্যাড,ল্যাপটপ আরো কত কি। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে ব্রেন ও কানের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে কিছুটা আলোচনা হলেও চোখের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে খুব একটা কথা হচ্ছেনা। আজকাল মা বাবারা প্রায়ই আমাদের কাছে জানতে চান বিশেষ করে বাচ্চাদের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো নিয়ে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার চোখের নানাবিধ জটিলতা তৈরি করে। যেমনঃ
এক. শুষ্ক চোখ/ Dry Eye: এটিকে কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম ও বলা হয়। টিয়ার ফ্লিম/ Tear Flim নামের এক পানির আবরণ আমাদের চোখের সামনের অংশ তথা করনিয়া ও কনজাংটিভাকে আবরিত করে রাখে। এটি করনিয়ার পুষ্টি,রোগ প্রতিরোধ,সচ্ছতা তথা ভিশনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতি মিনিটে সাধারনত দশ থেকে পনের বার চোখের পাতা নিজেদের অজান্তেই বন্ধ করি। যা টিয়ার ফ্লিমকে ভালভাবে চোখের সামনে ছড়িয়ে দেয়। এবং চোখের সামনের জলীয় অংশের উডে যাওয়া প্রতিরোধ করে। আমরা যখন দীর্ঘক্ষন মোবাইল বা অন্য ডিভাইস ব্যবহার করি তখন আমাদের চোখের পাতা স্থির হয়ে যায়। ফলে জলীয় অংশ উড়ে যায় এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। প্রাথমিক পরযায় কিন্তু এটিকে গুরুত্ব না দিলে এক সময় এটি বেশ জটিলতা তৈরি করবে।
দুই.Refractive Error :আজকাল বাচ্চাদের চোখের পাওয়ারের সমস্যা বেশ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে myopia।ছোট ছোট বাচ্চারা মোটা মোটা চশমা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের চেয়ে শহরে এই সমস্যা অনেক বেশি। গবেষনায় দেখা গেছে যে সব বাচ্চারা দীর্ঘক্ষন কাছের কাজ করে তারা myopic হয়।
তিন.ছানি/ cataract : ছানির জন্য অনেক risk factors আছে। এর একটি হচ্ছে ব্লু লাইট। আমরা যে ডিভাইস গুলো ব্যবহার সেগুলো থেকে কমবেশি ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়। সুতারং অদূর ভবিষ্যৎ এ ছানি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
চার. রেটিনার সমস্যা/ Retinal degeneration: যদিও ক্ষতিকর রশ্মিগুলোকে আমাদের লেন্স চোখের ভিতর ঢুকতে বাধা দেয়। তারপরও স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এ রশ্মিগুলো রেটিনার ক্ষতির কারন হতে পারে।
লেখক :
ডাঃমোঃশফিকুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক
চক্ষু বিভাগ
শেবাচিমহা,বরিশাল
বাইশ তম ব্যাচ, শেবাচিম
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার :
নূর ই আফসানা
মুগদা মেডিকেল কলেজ
সেশন : 2015-16