প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২০ নভেম্বর, ২০২০, শুক্রবার
আজ ২০ নভেম্বর, শুক্রবার, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে জু’মার নামাজের আগে বারান্দার ছাদ থেকে ১০ বর্গফুটের অধিক বিশালাকার পলেস্তারা বিকট শব্দে খসে পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে সেখানে সেসময় ছাত্ররা কেউ উপস্থিত না থাকায় কারো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার কথা ভেবে ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্কের উদ্রেক হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র এবং দেশের দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ। প্রতিবছর দুই শতাধিক এমবিবিএস ও বিডিএস শিক্ষার্থী অসামান্য মেধার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসক হবার স্বপ্ন নিয়ে এখানে ভর্তি হয়ে থাকেন। যাদের বেশিরভাগই কলেজের ছাত্রাবাসে থেকেই শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেন।
মেডিকেলটিতে ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ছাত্রাবাসের একটি ‘মেইন হল ছাত্রাবাস’ নামে পরিচিত। যেখানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন। জানা যায়, মেইন হলের সামনের ভবনটি মূলত পাকিস্তান আমলে নির্মিত। যা অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ন হয়েছে। তাদের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করে ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস প্রদান করে জানান, প্রতিনিয়ত হলের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ইতোমধ্যে প্রায় প্রতিটা রুমের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে এক ভয়াবহ রুপ নিয়েছে, যা কারো মাথার উপর পড়লে হতে পারে নির্ঘাত মৃত্যু। কক্ষে/বারান্দায় ঠিক এমন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে, যেখানে ছাত্ররা পড়াশোনা কিংবা তাদের প্রাত্যহিক অন্যান্য কাজ করে থাকেন। কলেজ প্রশাসনকে এই ব্যাপারে আগেও অনেকবার জানানো হলেও দুই/এক বছর পর পর চুন দিয়ে রং করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন জগন্নাথ হলের একটি আবাসিক ভবনের ছাদ ধ্বসে ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হন। এরকম কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেন কোনো প্রাণের অপমৃত্যু না ঘটে, সেজন্য দ্রুততম সময়ে এর স্থায়ী কার্যকর সমাধান চান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।