অন্যদের থেকে তারা একটু আলাদা…..
ফিলিস্তিনের এক মেয়ে যখন সবচেয়ে কম বয়সে ডাক্তার হওয়ার রেকর্ড করেছিল তখন মনে হয়েছিল যে এ কীর্তি তাদেরকেই মানায়….
পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়েই তাদের নাকে গেছে বারুদের গন্ধ। নবজাতক হিসেবে মধুর পরিবর্তে যাদের মুখে গেছে বোমার স্ফিংটার। জন্ম-মৃত্যু কি তা বুঝে আসার আগেই হারিয়েছে আপনজন।কেউ হারিয়েছে বাড়ি-ঘর,বড় হয়েছে রিফিউজি ক্যাম্পে। ইসরাঈলি জেট বিমান থেকে ছোড়া গুলির আঘাতে
ঝাঁঝরা হয়েছে স্কুলের প্রিয় বন্ধুটি, জীবনের ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি-বায়োলজি সেখানেই শেখা তাদের….
সেটাই হয়তো তাদের বড় অনুপ্রেরণা।
অতঃপর নির্যাতিত-নিপীড়িত মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবার শপথ নেয়া। কোনদিন হয়তো পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখেছে ক্লাসরুম তছনছ হয়ে গেছে বোমার আঘাতে অথবা ওয়ার্ড করতে গিয়ে দেখেছে মৃত্যুর মিছিল আর রক্তের স্রোত।
কিন্তু প্রচেষ্টা থেমে যায়নি….
গাজার একমাত্র মেডিকেল কলেজ থেকে সর্বশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাশ করেছেন তারা। এখন তাদের গন্তব্য আপাতত আল-সিফা হসপিটাল।
ইসরাঈলি হায়েনার গুলিতে মায়ের গর্ভে বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া সেই শিশুটির কথা মনে আছে..? অসীম সাহস আর ধৈর্য নিয়ে সেসময় যেসব ডাক্তাররা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা আজ নতুন কিছু উত্তরসূরী পেয়েছেন।
স্যালুট ফিলিস্তিনের এই ডাক্তারদের প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে….
আল্লাহ আপনাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন…
আমাদের দোয়া রইল আপনাদের জন্যে…
লিখেছেন : আরিফুর রহমান
পরিমার্জনা: বনফুল