শনিবার সকাল সাতটা তিরিশ মিনিটে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এন-১৯ ব্যাচের (পঞ্চম বর্ষ) শিক্ষার্থী সাদিয়া হাসানের সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সকালে নিজ বাসভবন কল্যানপুর থেকে সিএনজি যোগে কলেজে আসার সময়ে বংশাল নামক স্থানে আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ঘটনাস্থলে সরকারি মালিকাধীন বিএরটিসে বাস সাদিয়ে এবং তার মা কে বহনকারী সিএনজিকে পেছন থেকে বেপরোয়া ভাবে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে বাস পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কলেজে শোকের ছায়া নেমে আসে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে সকাল নয়টা থেকেই সকল ক্লাস স্থগিত করা হয় এবং সকলে অধীরভাবে কলেজ প্রাঙ্গনে সাদিয়াকে শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। অত:পর বেলা বারোটা তিরিশ মিনিটে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কলেজ প্রাঙ্গনে সাদিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। কলেজ কর্তৃপক্ষও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেন।
২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করবেন বলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গনে ফিরে যায়।
পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহন করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। পূর্বের সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সকল আন্দোলনের মতো যাতে এই আন্দোলন যাতে স্তিমিত হয়ে না পরে তার জন্য দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজ সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এই আন্দোলনে যোগদানের আহবান জানিয়েছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।