প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২ মে, ২০২০, শনিবার
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না এন-৯৫ মাস্ক। তবে চড়া মূল্যে হংকং এ পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্ক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ ব্যাপারে বলেন, “আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কিছু এন-৯৫ মাস্ক পেয়েছিলাম। কিন্তু, এরপরে আমরা আর কোনো এন-৯৫ মাস্ক পাইনি। এখন আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫’র সমতুল্য মাস্ক সরবরাহ করছি। সরকার তালিকাভুক্ত বিক্রেতাদের মাধ্যমে এন-৯৫’র সমতুল্য মাস্ক আমদানি করছে। এগুলোর বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি হচ্ছে।” (তথ্যসূত্রঃ ডেইলি স্টার, ১ মে ২০২০)
অপরদিকে মাস্ক রপ্তানী বন্ধ করেছে ৩ এম কোম্পানী। সরকার তাদের এন-৯৫ মাস্ক প্রস্তুতের ক্ষেত্রে দেশটির ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজম্যান্ট অ্যাজেন্সি থেকে পাওয়া অর্ডারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জানায় তারা। (তথ্যসূত্র: বিবিসি, ৩ এপ্রিল ২০২০)
স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার উপযোগী এন-৯৫ মাস্ক (3M model 1860 made by USA) চড়া দামে পাওয়া যাচ্ছে চীনের হংকং এ। এ মাস্ক পেতে শিপমেন্টের খরচ পড়বে ৫০ ডলার মত, যার সময় অনেকটা অনিশ্চিত। অন্যদিকে সাত দিনের মধ্যে পেতে হলে খরচ লাগবে ৬০০ ডলারের উপর। হংকং এর এন-৯৫ মাস্কগুলো আমেরিকায় উৎপাদিত, যা করোনা পরিস্থিতির আগে বা শুরুতে আমদানী করা। বর্তমানে মাস্কগুলো চড়া দামে মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে।
হংকং এর এন-৯৫ নিয়ে একজন চিকিৎসক জানান, “সাত দিনের মধ্যেই আজ হাতে পেলাম। সবই ঠিক আছে: ৩এম কোম্পানি, ইউএসএ মেইড, এক্সপায়ারি ডেটও ২০২৫। প্রতি পিচ হোম ডেলিভারিতে খরচ পড়ল-১৪৫০ টাকা। অবশ্যই খরচ অনেক বেশি, কারন এটাতো আমার ২০/২০ ম্যাচ!”
হংকং এর এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে একজন চীনা এজেন্ট জানালেন আরো কিছু তথ্য। তিনি সরকারের মাধ্যমে কেনার পরামর্শ দেন। যেহেতু ৩এম কোম্পানি বর্তমানে চায়না ফ্যাক্টরি জি টু জি ছাড়া মাস্ক ছাড়ছে না, কিন্তু যে দামে বিক্রি জি টু জি ফ্যাক্টরি থেকে বিক্রি হচ্ছে তা অনেক কম।
যদিও এই তথ্যের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নি।
বর্তমানে সরকার ৩এম কোম্পানির এন-৯৫ মাস্ক আমদানি করতে না পারায় সমমানের যে কেএন-৯৫, এফএফপি-২ ও অন্যান্য ক্যাটাগরির মাস্ক আমদানি করছে, তার মূল্য এবং জিটুজি ফ্যাক্টরির আসল এন-৯৫ মাস্কের মূল্য বিবেচনা করে দেখা প্রয়োজন।
দেশে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের ১১ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী, যা বৈশ্বিক হারের চেয়ে সাত গুণ বেশি। (প্রথম আলো, ১ মে, ২০২০)
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, এই মাস্ক আমদানির ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
নিউজ ডেস্ক