প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৮ মে ২০২০, সোমবার
ডা. নুসরাত সুলতানা
সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হার্ড ইমিউনিটি (Herd immunity) কী?
একটি কমিউনিটিতে যদি ৮৫% মানুষ কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে ইমিউনিটি অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে, তাহলে বাকী ১৫% মানুষ ও রোগজীবানুর মাঝে তারা একটি বাঁধা হিসেবে কাজ করে। ফলে ১৫% মানুষ আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। এটাই হার্ড ইমিউনিটি। তার মানে কোভিড-১৯ এ হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে ৮৫% মানুষকে আক্রান্ত হতে হবে। এই অবস্থায় শুধু ঢাকাতেই ১ কোটি ৭০ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হতে হবে।
কোভিড-১৯ এ কি হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হওয়া সম্ভব?
সার্স কোভ-২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতই হাইলি মিউটেটিং। ন্যাচারাল রিকম্বিনেশন এর ফলে নতুন নতুন স্ট্রেইন তৈরি হচ্ছে অর্থাৎ ভাইরাসগুলো চেহারা পরিবর্তন করছে। একটি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য স্ট্রেইনকে দমন করতে পারেনা। অর্থাৎ একটি জনগোষ্ঠী বিভিন্ন স্ট্রেইন বা রূপের সার্স কোভ-২ তে আক্রান্ত হতে পারে। একই স্ট্রেইন না হলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়া কখনই সম্ভব নয়। এ কারণে প্রতিবছর ইনফ্লুয়েঞ্জার সময়ের শেষের দিকে যে স্ট্রেইন দিয়ে আক্রান্ত হয়েছে, তার ধরন দেখে পরের বছরের জন্য ভ্যাক্সিন বা টীকা তৈরী করা হয়। কারণ এক সিজনের শেষের স্ট্রেইন পরের বছর সংক্রমণ করে। একে হেরাল্ড ওয়েব (herald wave) বলে।
যেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে প্রতিবছর নতুন করে ভ্যাক্সিন তৈরি করা লাগে, সেখানে সার্স কোভ-২ বা করোনা ভাইরাস কীভাবে হার্ড ইমিউনিটি দিবে?