প্ল্যাটফর্ম নিউজ
শনিবার, ২ মে, ২০২০
রোগীর তথ্য লুকানোর জের ধরে মিটফোর্ড হাসপাতালে ১২ জন ইন্টার্ন সহ প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তারা দুই জনই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিগত ১৯ এপ্রিল ডা. মাহবুবা সিদ্দিকার করোনা পজিটিভ আসে। এ সময় তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালে মেডিসিন ইউনিট-২ এ কর্মরত ছিলেন। এরপর ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নিবাসে আইসোলেশনে ছিলেন। ২৩ তারিখ তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন দ্রুত কমতে থাকলে, তাকে জরুরিভাবে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ৩০ তারিখ পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে ছিলেন। ৩০ তারিখে তার অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করা হয় এবং করোনা টেস্ট করলে তা নেগেটিভ আসে। এরপর আজকে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
পুরো সময় জুড়ে তার মনোবল যোগানো এবং তার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করায়, তিনি মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-স্টাফসহ মিটফোর্ডের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তার কলিগদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
একই ইউনিটে তার সাথে কর্মরত আরেকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হাসিবুল আসিফ ও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। Lymphoma চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি নেয়ার কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তিনিও গত ২৯শে এপ্রিল করোনা নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য যে, চিকিৎসা দিতে গিয়ে তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু সরকার ঘোষিত প্রণোদনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রদত্ত শর্তাবলির কারণে তাঁরা প্রণোদনার আওতার বাইরে রয়ে যাবেন।
তথ্যসূত্র: ডা. সজীব কুমার ঘোষ
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অভিষেক কর্মকার জয়