১১ এপ্রিল, ২০২০
৮ ই মার্চ, একমাস আগে বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এই অতি সংক্রামক ভাইরাসের সংক্রমণ। যার সংখ্যা আজ প্রায় ৪২৪ জন। সংক্রমণের এই তালিকায় চিকিৎসকের সংখ্যাও কম নয়।
চিকিৎসকদের আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশে এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন চিকিৎসক ,আইসোলশনে আছেন আরো ৮৭ জন।
গত ২২ শে মার্চ, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের একজন চিকিৎসক প্রথম কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন।হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন ৩০ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।
এর আগে ও ডেল্টা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের ৪ জন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং ৩ জন স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল যারা গত ২০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন তারা।
চিকিৎসকদের আইসোলেশনে থাকার সংখ্যাটি হুহু করে বাড়ছে।এর মধ্যে সর্বশেষ পপুলার হাসাপাতালের এক চিকিসৎকের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
যেখানে চিকিৎসকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে অথচ তারাই হলো ফ্রন্ট লাইন ফাইটার। একজন আক্রান্ত চিকিৎসক হতে পারে অনেক সাধারণ মানুষের আক্রান্তের কারন সেখানে অনেক হসপিটালে চিকিৎসকদের পিপিই ছাড়াই রোগী দেখতে বাধ্য করছে হসপিটাল কতৃপক্ষ।
পিপিই এর সংকোটে যখন কোনো চিকিৎসক নিজ উদ্যোগ এ পিপিই কিনার চেষ্টা করছে তখন একদল ব্যবসায়ী তার দশগুণ বেশি দাম চাইছেন।
পিপিই এর সংকট, বেড়ে চলা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা, জনগণের অসচেতনতা, অসাধু ব্যবসায়িক, সরকারের অসংগত পদক্ষেপ করোনা মোকাবেলায় কতোটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরী করবে তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ!
স্টাফ রিপোর্টার
নুরুন্নাহার মিতু