১০ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা)’র উদ্যোগে গত ১ এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখ, শনিবার, সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে 'আপন আনন্দে আঁকি' র্শীষক এক আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ জিল্লার রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত (Korean International Cooperation Agency) কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হিয়ুন গ্যিয়ু (Joe Hyungue)। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। অন্যান্য এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইপনা'র প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার, আর্ট ক্যাম্পের বিজ্ঞ বিচারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং বিশিষ্ট চিত্র ও অভিনয় শিল্পী বিপাশা হায়াত। অনুষ্ঠানে অন্যান্য এর মধ্যে Korea Bangladesh Alumni Association (KBAA’র প্রেসিডেন্ট জনাব মনজুর হোসনে বক্তব্য রাখনে।
র্আট ক্যাম্পে ঢাকাসহ সারাদেশের বিশেষায়িত স্কুলের প্রায় দেড় শতাধিক অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু অংশগ্রহণ করে। এতে সারাদেশ থেকে আগত অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের মা-বাবা, ডাক্তার, সাইকোলজিস্ট, থেরাপিস্ট, কাউন্সিলর, বিশেষায়িত স্কুলের শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ী উপস্থতি ছিলেন।
শুভচ্ছো বক্তব্য ও অতথি বক্তব্যের পর ইপনার থিম সং পরিবশেন করা হয়। র্আট ক্যাম্প শেষে বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী র্কতৃক বাছাইকৃত সেরা দশ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে জনাব জিল্লার রহমান এইসব শিশুদের মেধার প্রতি র্পূণ আস্থা রেখে বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ ও যত্ন পেলে তারাও সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম। র্বতমান সরকার তাদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হউিন গ্যউি বলেন, KICA ২০১২ সাল থেকে অটিজম বিষয়ে ফেলোশীপ প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদশেকে সহযোগিতা করে আসছে। ফেলোশীপ প্রোগ্রামের আওতায় এ যাবত ৬৯ জনকে কোরিয়া প্রেরণ করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে অটিজম বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরিতে অব্যাহত সহযোগতিার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপার্চায জনাব কামরুল হাসান খান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে অটিজমের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজদে হোসনে-এর অবদানের কথা স্মরণ করনে। তিনি অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের সেবায় ইপনা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় র্সবদা প্রস্তুত থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন।