ফরিদপুরে সনদ ছাড়াই চিকিৎসকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে এক নারী সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের শহরের সুপার মার্কেট, কানাইপুর ও বাখুণ্ডায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনদীপ ঘরাই এ সাজা দেন।
ফরিদপুর র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোজাম্মেল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাডেমিক যোগ্যতা ছাড়াই চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসা ১০ ভুয়া ডাক্তার ও তাদের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ইসমাইল ডেন্টাল ল্যাবের মালিক উজ্জ্বল হোসেন (২৮), আমেনা ডেন্টাল কেয়ারের মালিক শাখাওয়াত হোসেন (২৯), সাবেরা ডেন্টাল কেয়ারের মালিক হাফিজুর রহমান (৩০), নূরজাহান ডেন্টাল ক্লিনিকের প্রিয়া আক্তার (২৩), দন্ত চিকিৎসালয়ের শেখ জাহিদ হোসেন (৩৮), সেবা ডেন্টাল কেয়ারের আক্তারুজ্জামান খান (৩৩), সেবা ডেন্টাল কেয়ারের এখলাস উদ্দিন মৃধা (৩৩), মুক্তা ডেন্টাল কেয়ারের আলতাফ হোসেন (৪৬), ফরিদপুর দন্ত চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক গুহলক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুল কাদের (৪৮) ও তাঁর বাবা আবুল খায়ের (৭৩)।
এদের মধ্যে আবুল খায়ের দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে নিজেকে সার্জন পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন। অথচ তাঁর কোনো ডাক্তারি সনদ নেই। পিয়া আক্তারকে ও আবুল খায়েরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।বাকিদের সর্বনিম্ম ৬ মাস জেল ও ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মনদীপ বলেন, “দণ্ডিতরা ডাক্তারি পাসের কোন সনদ দেখাতে পারেনি। ডাক্তার না হয়েও সাইনবোর্ডে নামের পাশে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন তারা। দীর্ঘ দিন ধরে তারা সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতো।”
পোস্টে কোথাও কোন তারিখ উল্লেখ নেই। কি করে বুঝবো যে এটা কবেকার খবর