শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ভুগছে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল। মাত্র ২০ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে ১০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যায় সেবা কার্যক্রম চললেও রোগী ভর্তি হয় শয্যা সংখ্যার তিন-চার গুণ। নিয়মানুযায়ী, ১০০ শয্যার হাসাপাতালে মোট চিকিৎসক থাকার কথা ৪০ জন। কিন্তু বর্তমানে পদায়িত আছেন ২০ জন, বাকি অর্ধেক পদ শূন্য।কার্ডিওলজি, সার্জারি ও এ্যানেসথেশিয়া সহ ১৮ পদে চিকিৎসক নেই। সহ-সেবক, হিসাব রক্ষক, কার্ডিওগ্রাফার ও ড্রাইভারসহ তৃতীয় শ্রেণির ৪০ জন কর্মচারীর বিপরীতে আছে ২৩ জন।
চতুর্থ শ্রেণির অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্ট্রেচার বহনকারী ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পদে ২৩ জন থাকার কথা, আছে মাত্র ৬ জন। তবে হাসপাতালটিতে নার্স ও আউটসোর্সিং কর্মীর কোন সংকট নেই।
নথি বলছে, ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগী ভর্তি থাকে। যেখানে ১০০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলই হাসপাতালে নেই, সেখানে তিন-চার গুণ রোগীর চাপ সামলাতে হয় চিকিৎসক ও নার্সদের। একই সাথে হাসপাতালে রয়েছে সুপেয় পানির অভাব। এতসব সংকটের মধ্য দিয়েই চলছে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
এ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৫টি। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় ভর্তি ছিল ৪৭ জন রোগী! জানা গেছে, প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল গফফার বলেন, “আমাদের চিকিৎসকসহ জনবল সংকট রয়েছে। সমস্যার বিষয়টি নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করছি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য।”
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী