প্ল্যাটফর্ম নিউজ
সোমবার, ১১ই মে, ২০২০
করোনাকালীন সময়ে সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসকদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে অপরিহার্য বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই( পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট)। সরকার হতে হাসপাতালসমূহে নির্ধারিত পরিমাণে পিপিই বিতরণ করা হলেও চিকিৎসকদের চাহিদার কথা ভেবে বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের উদ্যোগেই পিপিই বিতরণে এগিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় “৩০তম বিসিএস ফোরাম” এর পক্ষ থেকেও কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি পিপিই বিতরণ করা হয়।
৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়াশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহেদুর রহমান সোহাগ এ বিষয়ে “প্ল্যাটফর্ম” নিউজ পোর্টালকে জানান,
“এই লেখাটি আসলে প্রচারের জন্য নয়, শুধু মাত্র অন্যান্য মানুষকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। করোনা দূর্যোগ শুরু হওয়ার পর একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হতে থাকলে বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। ৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি ৩০তম বিসিএস ফোরামের অনলাইন মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরি এবং অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের অভূতপূর্ব সাড়া পাই। ইতিমধ্যে আমাদের করোনাকালীন ইমার্জেন্সি ফান্ড গঠন হয়েছে। সেই ফান্ড থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সুরক্ষা সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমরা হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস শিল্ড, সু কাভার, হেক্সিসল দেওয়ার চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের জরিপ বলছে যেহেতু এই জিনিসগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে তাই প্রতিটা হাসপাতালেই এসব সামগ্রীর প্রয়োজন বেশি। এছাড়াও ৩০তম বিসিএস ফোরাম এর আগে কিছু পিপিই প্রদান করেছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন জনাব কাদির শিপু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি ৩০তম বিসিএস ফোরাম এবং জনাব গোলাম কিবরিয়া, উপ-কমিশনার, বিসিএস ট্যাক্স, সাধারণ সম্পাদক ৩০তম বিসিএস ফোরাম। এছাড়াও সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন ডা. মাসুদ, সভাপতি ৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশন, ডা. মাহফুজ, অর্থ সম্পাদক, ৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশন ও ডা. গাউছুল আযম, সাংগঠনিক সম্পাদক, ৩০তম বিসিএস ফোরাম। আমরা ইতিমধ্যে সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছি ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। আমাদের পরবর্তী ইচ্ছে বিভিন্ন উপজেলা নিয়ে কাজ করা। আশা করি আল্লাহ আমাদের দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রতিটা চিকিৎসক ভাই বোনকে সুস্থ রাখুন ও তাদের মনোবল অটুট রাখুন। আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে একটু চেষ্টা করি। এই বিপদ নিশ্চয়ই আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। ”
এছাড়াও ৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আরো বলেন, “আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে আক্রান্ত চিকিৎসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা এবং আল্লাহ না করুন ৩০তম বিসিএস স্বাস্থ্যের কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সংকটের মুহূর্তে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। এক্ষেত্রে আমি মনে করি কাজটিই মুখ্য, তবে প্রচারণা যদি মানুষকে উৎসাহ দেয় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ্। ”
ছবি সংযুক্তি
উল্লেখ্যে, চিকিৎসকদের সুরক্ষায় বর্তমানে এ ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন ফলপ্রসূ অন্যদিকে হাসপাতালে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মনোবল বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হৃদিতা রোশনী