বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দেশের ৩৫টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরূ গত আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এমনকি এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তরও দিতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অথচ বেতন না পেয়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানবেতন জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদে সম্মেলনে এই তথ্য জানান কেন্দ্রে কর্মরতরা। সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন পাঠ করেন কেন্দ্রের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (শিশু মনোবিজ্ঞানী) ড. ফায়েজা আহমেদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কেন্দ্রে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে একাধিক বিশেষায়িত সেবা পায় শিশুরা। গত ১৫ বছরেরও বেশি সময়ে এসব কেন্দ্র থেকে ২ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ শিশু ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ বার চিকিৎসা পেয়েছে। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন না পেয়ে জীবনযাপন করছেন। কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পর্যন্ত পান না। এমনকি নিজেদের চিকিৎসার খরচটুকুও বহন করতে পারছেন না তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র সঠিকভাবে পরিচালনা, দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রকে রাজস্ব খাতে অনুমোদনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান শিশু বিকাশ কেন্দ্রের বেতন বন্ধ থাকাকে একটি অমানবিক বিষয় হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি অতিদ্রুত সরকারি বিশেষ ব্যবস্থায় বেতন পরিশোধ করে তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পর্যায়ে কর্মরত কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. মামুন বেতন না পেলে শিশু বিকাশের সেবা অব্যাহত রাখা কঠিন বলে উল্লেখ করেন। চাইল্ড সাইকোলজিস্ট দীপন চন্দ্র বেতনহীন অবস্থায় নিজের নিদারুণ মানবেতর জীবনযাপনের তথ্য তুলে ধরেন। ডেভলেপমেন্টাল থেরাপিষ্ট শুকলা তার বক্তব্যে বেতনবিহীন দীর্ঘদিনের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বিগত সময়ে শিশু বিকাশ কেন্দ্র রাজস্বে অন্তর্ভুক্তির বার বার আশ্বাস দেওয়ার পরও এখনো তা না হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ডা. সঞ্জয়।
কেন্দ্রের চাইল্ড সাইকোলজিস্ট হাবিবুর রহমান সজীব বলেন, নিউরোডেভলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুরা শিশু বিকাশের বিশেষায়িত সেবা বঞ্চিত হলে ভবিষ্যতে দেশে প্রতিবন্ধিতার সংখ্যা বেড়ে যাবে ও সরকারের সমাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
প্ল্যাটফর্ম/