মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার
“Engagement of physician community for Tobacco control in Bangladesh: Success and way forward” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরে অবস্থিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এর কনফারেন্স হলে।
উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। এছাড়াও উক্ত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ফজিলাতুন নেসা মালিক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেলুর রেজা চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের বর্তমান চিত্র ও তা নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সাথে মিলিতভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন এবং সকলে মিলে আইন প্রণয়ন ও সচেতনতা তৈরীতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটিএফকে’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মাহিন মালিক, যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল টোব্যাকো ব্রাঞ্চের প্রধান ড. ইন্দু আহলুওয়ালিয়া। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, বিএমএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তারেক মেহেদী পারভেজসহ আরো অনেকেই।
অতিথিদের মধ্যে সবাই তামাক নিয়ন্ত্রণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তামাক নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও কিভাবে তা হতে উত্তরণ ঘটানো যায় তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। সম্মানিত অতিথিবৃন্দরা বাংলাদেশে তামাকের হার পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলেন এবং এই বিষয়ের সকল উদ্যোগ চালিয়ে যেতে হবে বলে সুপারিশ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আজীবন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, “তামাকখাত থেকে সরকার প্রতিবছর যে পরিমাণ ট্যাক্স পায় তার থেকে অনেকগুণ বেশি তামাকজনিত চিকিৎসায় ব্যয় করে। তামাকে এমন সব কেমিক্যাল রয়েছে যা সরাসরি ক্যানসার হওয়ার কারণ।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে আমি নিজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। উনি সংশোধনের জন্য আগ্রহী। কিন্তু অনেকের এই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কম। তাই বিষয়টিতে সেভাবে অগ্রগতি হয়নি। আমি ভবিষ্যতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে আবারও বলব।”
উক্ত সেমিনারে উপস্থিত থেকে সেমিনারকে প্রাণবন্ত করেছে বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসক ও মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের সংগঠন “প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি” এর প্রতিনিধিগণ, সন্ধ্যানী’র প্রতিনিধি, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মো. ইরফানুর রহমান