সার্জারী ইউনিট ফোরের এক রোগীর সাথে নয়জন এটেন্ড্যান্ট থাকায় ইভিনিং রাউন্ডের সময় তাদের বের হয়ে যেতে বলা হলে তারা বেয়াদবী করে। এবং তাদেরই একজন এটেন্ড্যান্ট সার্জারী ইউনিট ফোরের এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারকে নোংরা ভাষায় গালি দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই খবর পেয়ে ইন্টার্ন ডাক্তাররা অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজিত হয়ে সেই এটেন্ড্যান্টের উপরে চড়াও হয়। ইতোমধ্যেই সার্জারী ইউনিট থ্রীর সিএ স্যারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এবং দুজন মিলে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যে ইন্টার্নদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এর আগেই পুলিশ হাজির হয়। শুরু থেকেই পুলিশ ডাক্তারদের সাথে বাজে ব্যাবহার করতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে একজন এএসআই সিএ স্যারের কলার ধরে দেয়ালে চেপে ধরেন। এমতাবস্থায় উপস্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে যায়। বাকবিতন্ডা চলকে থাকে এবং হাসপাতাল সাময়ীক বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ দ্রুত হাজির হন এবং ইন্টার্ন ও ছাত্রদের তোপের মুখে পরেন। পরবর্তিতে পরিচালক, সিনিয়র প্রফেসর ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মাকর্তাগণ উদ্ধুত পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয় সেই এএসআই কে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কিন্তু অতীত তিক্ত দৃষ্টান্তের প্রেক্ষীতে ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই এএসআই এবং এটেন্ড্যান্ট এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এবং সেই সাথে হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধিরও জোরদাবী জানানো হয়।
তথ্য ঃ শেবাচিম প্ল্যাটফর্ম প্রতিনিধি