২০০৭ সাল। তখন বাংলাদেশ থেকে প্রথম ৬ জন তরুণ গবেষক সুযোগ পান লিন্ডাও নোবেল সম্মেলনে যোগ দেওয়ার। জার্মানির লিন্ডাও শহরে প্রতিবছর বসে নোবেল বিজয়ীদের মেলা। একেকবার এককটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ১৯৫১ সাল থেকে লিন্ডাও শহরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নোবেল বিজয়ীদের সে সম্মেলনে সারা পৃথিবী থেকে বাছাই করা পাঁচ শতাধিক তরুণ বিজ্ঞানীও যোগ দেন।
সেই ৬ জনের ভিতর কেউ ছিলেন প্রকৌশলী, কেউ ছিলেন অণুজীব বিজ্ঞানী, কেউ ছিলেন জেনেটিক্সে পড়ুয়া। এদের ভিতর একজন ছিলেন চিকিৎসক। তিনি হলেন আয়েশা সানিয়া।
ডা আয়েশা সানিয়া ২০০৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০০৫ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথের প্রথম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট।
এরপর তিনি আইসিডিডিআরবিতে রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করেন। ২০০৬ সালে তিনি First breath: who takes care of the newborn in the critical minutes immediately after birth? শীর্ষক প্রবন্ধের জন্য দি গ্লোবাল ফোরাম ফর রিসার্চ এবং ল্যানসেট জার্নালের আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার লাভ করেন।
২০০৯ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ সরকারের NATIONAL NEONATAL HEALTH STRATEGY AND GUIDELINES FOR BANGLADESH এর Birth Asphyxia সেকশনের টেকনিক্যাল সাবকমিটিতে তিনি সদস্য ছিলেন।
২০১৩ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ স্কুলে পিএইচডি করেন। বর্তমানে তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।
তার গবেষণাপত্রগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন।