তার সাথে যখন আপনার প্রথম দেখা হবে, তিনি মিষ্টি করে হাসবেন। এরপর হাত বাড়িয়ে দিবেন করমর্দন করার জন্য। এরপ তিনি হয়তো বলবেন, “ইটস নাইস টু মিট উইথ ইউ”। এরপর তিনি হয়তো জিজ্ঞাসুনেত্রে আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন আপনি কেমন আছেন? আপনি যদি সৌভাগ্যবান হন, তাহলে তিনি তাঁর ব্যস্ত সময়ের কিছু মিনিট ব্যয় করবেন আপনার কথা শোনার জন্য। আমি ডা ইয়াসমিন আলী হকের কথা বলছি। সর্বজনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরের মতের প্রতি সম্মান- শৈশব থেকে লালন করা এই দুটি গুণ তাঁর ভিতর এখনও আপনি দেখতে পারবেন।
তিনি একজন চিকিৎসক। তিনি একজন বাংলাদেশী। কাজ করছেন ইউনিসেফে।
ডা ইয়াসমিন আলী হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে এমবিবিএস পাস করেন।
ডা ইয়াসমিন আলী হক ১৯৯৬ সালে ইউনিসেফ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি কর্মসূচীতে প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
২০০২ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হেলথ সিস্টেমের উপর মাস্টার্স করেন। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে বিশেষ অবদান রাখেন।
শ্রীলংকাতে তিনি ইউনিসেফের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০০৭। ২০০৪ এর সুনামির পর শ্রীলংকাতে ইমারজেন্সি রেসপ্নস প্রোগ্রাম গড়ে তুলেন তিনি। এই নিয়ে তিনি প্রচুর গবেষণা করেছেন।
২০০৭ সালে তিনি ঘানাতে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ সুদানে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে নিউইয়র্কের ইউনিসেফ সদরদপ্তরে Office of Emergency Programmes ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।