নবীন ক্লিনিক্যাল গবেষকদের ভিতর এক নম্বরে থাকবেন সিলেট মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের কলসালটেন্ট ডা ফজলে রাব্বী চৌধুরী। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল একটি দেশে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সরকারী চাকরি করে এবং ক্লিনিক্যাল লাইনে থেকেও যে বিশ্বখ্যাত উদীয়মান গবেষক হওয়া যায় তার প্রমাণ এই চিকিৎসক। ফজলে রাব্বী ২০০৫ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি লাভ করেন এবং লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন থেকে ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এরপর এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেন মেডিসিনে।
ছাত্রাবস্থা থেকেই ফজলে রাব্বী চিকিৎসা গবেষণায় যুক্ত হন। এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র থাকার সময়েই ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন বিষক্রিয়ার ওপর তাঁর গবেষণা ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে পটকা মাছের বিষক্রিয়ার ওপর তাঁর সাক্ষাৎকার আলজাজিরা টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। এ পর্যন্ত তাঁর ৪২টি গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। সংক্রামক ব্যাধি ও বিভিন্ন রকম বিষক্রিয়ার ওপর তিনি বর্তমানে গবেষণা করছেন।
সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি যেমন—টাইফয়েড, কলেরা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ ইত্যাদির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যালোচনা করেছেন ডা ফজলে রাব্বী চৌধুরী। তাঁর এই গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ‘ইয়ং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’। ২০১৫ সালে আবার কমনওয়েলথ বৃত্তি পেয়ে অক্সফোর্ডে তিনি পিএইচডি করছেন ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে।
এখানে ক্লিক করে পাবেন তাঁর গবেষণাপত্রগুলো
Sanghamitra Dey
আমি ঢাকা মেডিকেলের কার্ডিওলোজিস্ট ড. ফজলে রাব্বির কথা ভাবছিলাম। দুঃখিত 🙁
কমেন্ট ডিলিট মারছি
Pride of KMCH 🙂
Rabbi sir we are proud of you..