হায়ার স্টাডি এব্রডের অন্যতম একটি অংশ স্কলারশিপ। আর এই স্কলারশিপ মেডিকেল ব্যাকগ্রাউন্ডে একটু ভিন্ন। স্কলারশিপকেই অনেকে ফান্ডিং বলে থাকি। স্কলারশিপ আর ফান্ডিং এর আলাদা কোন মানে নেই।
মেডিকেল সাইন্সে 90% স্কলারশিপ হয় নন-ক্লিনিক্যালে/প্যারা-ক্লিনিক্যালে। ক্লিনিক্যালে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ হয় শুধুমাত্র জাপান এবং জার্মানীতে। এখানে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত স্কলারশিপ গুলো সম্পর্কের কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি।
স্কলারশিপ প্রধানত ২ রকমের হতে পারে। যেমন-
১। Scholarship given by Organization
২। Scholarship given by Professor/University
Scholarship Given by Organization-
বিশ্বের পপুলার কিছু স্কলারশিপ গিভিং অর্গানাইজেশন>
*DAAD, Germany
Bangladesh office> House-10, Road-09, Dhanmondi, Dhaka.
*Japanese govt. scholarship (Monbukagakusho@MEXT),Japan
*VLIROUS, Given by Belgium govt. Belgium
*NUFFIC,Given by Netherland govt. Netherland
*Commonwealth Scholarship & Fellowship Plan (CSFP), UK.
*International Postgraduate Research Scholarship (IPRS), Australia
*Vanier Canada graduate scholarship for PhD, Canada.
*ERASMUS MUNDUS, Whole EU.
*Fullbright Scholarship, USA.
*Sweden govt. scholarship for international students & Erasmus Mundus, Sweden.
*Malaysia International scholarship (MIS), Malaysia
*Korean govt. scholarship programe (KGSP)
আপনি যখনই কোন স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করতে যাবেন সেই স্কলারশিপের ওয়েবসাইট দেখে ক্রাইটেরিয়া গুলো আগে ফুল-ফিল করুন। ওয়েবসাইটগুলো গুগুল করলে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
সাধারনত ইউরোপীয়ান স্কলারশিপ অর্গানাইজেশনগুলো IELTS সবচেয়ে বেশী প্রিফার করে থাকে। সাউথ/নর্থ আমেরিকান কান্ট্রি গুলো GRE/GMAT, SAT/TOEFL বেশী প্রিফার করে, সাথে আরো কিছু ব্যাপার আছে সেগুলো এখানে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
Scholarship given by Professor/University-
যদি স্পেসিফিক কোন ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেতে চান তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটির আপনার পছন্দের ডিপার্টমেন্টের কোন প্রফেসর কে নক করুন, এবং নিম্নোক্ত প্রসিডিউর গুলো মেইনটেইন করুন-
প্রথমেই আপনি পছন্দের সাবজেক্ট বাছাই করুন। সাধারনত মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েটরা যে বিষয় গুলো বাছাই করে থাকে-
• Physiology
• Physiotherapy
• Psychology
• Public Health
• Speech-Language Pathology & Audiology
• Epidemiology
• Rehabilitation/Therapeutic Services
• Biochemistry
• Biomedical sciences
• Biophysics
• Biotechnology
• Bacteriology
• Anatomy
• Biometrics & Biostatistics
• Cell/Cellular Biology and Histology
• Developmental Biology/Embryology
• Endocrinology
• Entomology
• Immunology
• Molecular Biology
• Microbiology
• Neuroscience
• Nutrition science
• Toxicology
• Genetics
• Pathology
• Pharmacology
• Physiology
•Cancer biology
সাবজেক্ট বাছাই করার পর সেই ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরকে মেইল করুন, উনাকে কানভাইন্স করার ট্রাই করুন। ধরুন আপনি Toxicology তে ফান্ডিং পেতে চাচ্ছেন, প্রফেসরকে এমনভাবে এপ্রচ করুন Like born to be a Toxicologist!!!
মনে রাখবেন নন-ক্লিনিক্যালের চেয়ে প্যারা-ক্লিনিক্যালের ফিউচার ভাল। কেননা ফান্ডিং বেশী পাওয়া যায় এবং পড়াশুনা শেষে জব এভেইলএবল থাকে। এখানে রিসার্চটাই উল্লেখযোগ্য সাথে ল্যাব-ওয়ার্ক মাস্ট!! নন-ক্লিনিক্যাল এর জব পার্স্পপেক্টিভ ভাল না। তাই যারা পড়াশুনার শেষে PR (Permanent Residency) উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের জন্য এটা লস প্রজেক্ট। কেননা কোর্স শেষে নিজ দেশে ব্যাক করতে হবে।
সেলফ-ফান্ডিং এ পড়াশুনা করতে পারলে প্রসিডিউর গুলো অনেক সহজ। কিন্তু স্কলারশিপ পেতে চাইলে বেশ কিছু ফর্মাল কাজ করতে হয়।
স্কলারশিপের জন্য যা যা লাগবে-
1. WES Evaluation
2. IELTS/TOEFL
3. GRE/GMAT
4. Lab working experience
5. Research experience
6. Publication
7. SOP (Statement of purpose)
8. LOR (Letter of Recommendation)
১। WES কী? কিভাবে প্রসিড করতে হয়?
= World Education Service. আপনার MBBS এর মার্ক আমেরিকান সিস্টেমে কনভার্ট করে সিজিপিএ বের করবে এরা।
প্রসিডিউর-
১। ২১২ ইউএস ডলার পে করে অনলাইনে একাউন্ট খুলার পর আপনাকে একটা রেফারেন্স নাম্বার দেয়া হবে।
২। তারপর WES ফর্ম প্রিন্ট আউট দিয়ে ফিল-আপ করুন।
৩। ডিইউ এর ৩০৫ নাম্বার রুমে গিয়ে আপনার ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট সত্যায়িত করুন।
৪। OCS/Fedex/DHL এর মাধ্যমে সত্যায়িত ডকুমেন্ট পাঠিয়ে দিন।
৫। WES DU তে ই-মেইল করবে ভেরিফিকেশনের জন্য।
৬। ডিইউ থেকে কনফার্ম করলেই আপনার কাজ কমপ্লিট।
২। ল্যাংগুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি-
IELTS- International English Language Testing System.
TOEFL- Test of English as Foreigh Language
GRE- Graduate Record Exam.
GMAT- Graduate Management Admission Test.
CAT- Common Admission Test.
এগুলো আমাদের সকলেরই পরিচিত। আমরা সাধারনত IELTS, TOEFL, GRE দিয়ে থাকি।
IELTS প্রত্যেকটা দেশের জন্য দিতে পারলে ভাল। এটা খুবই কমন টেস্ট। IELTS এর সাথে TOEFL থাকলে ভাল। না থাকলে কোন প্রব্লেম নাই। তবে নর্থ/সাউথ আমেরিকান কান্ট্রিগুলোর জন্য GRE মাস্ট! GRE ছাড়া স্কলারশিপের কথা ভাবতেই পারবেন না।
৩। ল্যাব-ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স-
প্যারা-ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টগুলোতে স্কলারশিপ পেতে চাইলে ল্যাব ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স খুব জরুরী। বাংলাদেশে ICDDR,B , IEDCR, BSMMU, BIRDEM এ যে প্রজেক্ট রান হয় সেগূলোতে জব এক্সপেরিয়েন্স থাকলে সেটা ল্যাব-ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে কাজ করবে। আর প্রজেক্ট যদি রিসার্চ ভিত্তিক প্রজেক্ট হয় তবে একসাথে ১। ল্যাব-ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স এবং ২। রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে কাজ করবে। আমাদের দেশে ল্যাব-ওয়ার্ক করার সুযোগ খুব কম। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টরা তুলনামূলক বেশী ফান্ডিং পায় কারন তারা প্রচুর ল্যাব ওয়ার্ক করে।
৪। পাবলিকেশন কী?
=আপনার রিসার্চ পেপার যখন একটি জার্নালে পাবলিশ হবে তখন আপনার একটি পাবলিকেশন হবে।
-জার্নাল অনেক রকমের হয়। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে peer-reviewed journal. আপনি যখন একটি peer-reviewed journal এ পেপার সাবমিট করবেন তা কয়েকজন রিভিউয়ার দেখে সম্মতি দিলে তা ইডিটরদের কাছে যাবে। ইডিটর রা দেখবেন জার্নালে পাবলিশ হবার সকল নিয়ম-কানুন মেনেছে কিনা। কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের জন্য আপনাকে বলা হবে। পিয়ার-রিভিউড জার্নালের পাবলিকেশন সবচেয়ে ভ্যালুএবল। তাই চেষ্টা করুন এরকম জার্নালে পাবলিকেশন করার জন্য।
=ফান্ডিং পেতে পাবলিকেশন বাধ্যতামূলক নয়। তবে পাবলিকেশন থাকলে প্রায়োরিটি ব্যাসিসে আপনি সবার আগে ফান্ডিং অয়াবেন নিশ্চিত থাকুন যদি আপনার পিয়ার-রিভিউড জার্নালে পাবলিকেশন থাকে।
৫। SOP(Statement of Purpose)-
আপনার উদ্দেশ্য, আপনার প্ল্যানিং সবকিছুই অল্প কথায় এখানে লিখতে হবে। সত্যিকার অর্থে এই ব্যাপারটাই সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট এবং কমপ্লিকেটেড। ধরুন আপনি টক্সিকোলোজি তে পড়তে চাইছেন, আপনি যদি মাইক্রোবায়োলোজীর কোন প্রফেসরকে নক করে থাকুন তবে তা ভুল হবে। এবং সে ক্ষেত্রে আপনি কোন রেস্পন্স পাবেন না, এটাই স্বাভাবিক। ট্যাকনিক্যাল ব্যাপার হল আপনি টক্সিকোলোজীর একটি রিসার্চ প্রোপোজাল জুড়ে দিন! প্রফেসর স্যার খুশী হয়ে আপনাকে ফুল-ফান্ডিং থেকে শুরু করে রিসার্চ এসিস্ট্যান্টশীপ/ টিচার্স এসিস্ট্যান্টশীপ দিয়ে দিতে পারে!!
RA-(Research Assistantship|)- ইউনিভার্সিটির রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে কিছু আর্নিং করা যায়।
TA-(Teachers Assistantship)- প্রফেসর স্যার খুশী হলে আপনাকে উনার এসিস্ট্যান্টশিপও দিয়ে কিছু আর্নিং এর ব্যবস্থা করে দিবে।
৬। LOR (Letter of Recommendation)-
নিজের কলেজ থেকে শুরু করে ফরেইন প্রফেসর দের কাছ থেকে লেটার অফ রিকমেন্ডেশন নেয়ার ট্রাই করুন। এটা নেয়ার সময় ভেবে দেখবেন যিনি আপনাকে লোড় দিচ্ছে তিনি কত বড় প্রফেসর সেটার থেকে বড় ব্যাপার হল উনি আপনাকে জন্য কতটা ডেডিকেটেড তা। উনি যদি টাইমলি আপনার ইউনিভার্সিটি থেকে আসা মেইল এর রেস্পন্স না করেন তবে প্রজেক্ট লস। তাই আগে স্যারের সাথে সেভাবে কথা বলে ভেবে দেখুন উনি আপনার জন্য কতটা হেল্পফুল হবেন। প্রয়োজনে আপনি স্যারের নামে একটি ই-মেইল খুলে সেটা আপনি স্যারের নামে পরিচালনা করতে পারেন স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে।
LOR এর নিয়ম-
ইউনিভার্সিটিতে ৩জন রিকমেন্ডার এর নাম ও ই-মেইল সাবমিট করতে হবে। তারপর ইউনিভার্সিটি থেকে লোড় এর ৩ পেইজের একটি লিংক দেয়া হবে। সেই লিংক এ গিয়ে একটা ফর্ম পাবেন সেটা ফিল-আপ করে দিলেই লোড় সাবমিটেড হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ক্যারিয়ার সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। এরকম অসংখ্য এক্সপার্টস হেল্পলাইন নিয়ে প্ল্যাটফর্ম ক্যারিয়ার উইং আপনাদের সামনে সেখানে হাজির হবেন। অফিসিয়াল এনাউন্সমেন্ট সহ ডিটেইলস জানিয়ে দেয়া হবে প্রানের প্ল্যাটফর্মেরই এই গ্রুপে।
Good luck!
লিখেছেন:
জাহিদ হাসান
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ
non clinical and para clinical bepar gula ektu clear korle valo hoto.
Such an awesome post 😀
BDS er por ki ei non clinical subject e apply kora jabe?
Obviously!
obviously!
ভালো পোস্ট। GMAT কমার্স রিলেটেড সাব্জেক্ট এর জন্য। আর যাদের মেডিক্যাল DU এর আন্ডার এ তারাই শুধু DU থেকে WES করাতে পারবে। বাকিদের নিজ নিজ ভার্সিটি থেকে করাতে হবে।