১৩ এপ্রিল, ২০২০
বেসরকারী সংস্থার সহায়তায় সারা দেশে কোভিড -১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশেও দক্ষিণ কোরিয়ার “কিয়স্ক” মডেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা অন্যান্য ব্যক্তিগত অথবা বেসরকারী সংস্থাগুলিকে এ জাতীয় ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি। অবশ্যই, এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমাদের পরীক্ষার সুবিধার জন্য একটি মাইলফলক এনে দেবে।”
করোনা টেস্টিং বুথে কাজ করছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, “এই বুথটি নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল হ্রাস করবে। এনজিও – জে কেজি হেলথ কেয়ারকে নমুনা সংগ্রহের কাজটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাথে ডিজিএইচএসও তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।”
“এটি সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিটি নমুনা সংগ্রহের পরে তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) পরিবর্তন করতে হবে না, বলে তিঁনি জানান।”
জে কেজি হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক ডা. সাবরিনা আরিফ বলেছেন, “এ জাতীয় মোট ৪৪ টি নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়েছে এবং আমরা আশা করছি আজ থেকেই কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য লোকেদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হবে।”
তিনি জানান, “৪৪ টির মধ্যে ঢাকায় ৮টি , নারায়ণগঞ্জে ৮ টি এবং বাকিগুলো অন্যান্য বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মডেল অনুসরণ করে আমরা দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে মোট ৩২০ টি বুথ স্থাপন করব।”
কাঁচের কেবিনের মতো দেখতে স্যাম্পল-কালেকশন বুথটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে চিকিৎসা কর্মীরা যেখানে অবস্থান করবেন সেখানকার পরিবেশটি সর্বদা জীবানুমুক্ত থাকে। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীগণ বুথের বাইরে দাঁড়ানো লোকদের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ডা. সাবরিনা আরও বলেন, “কেবিনের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বুথের বাইরের লোকদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বুথের উপর চাপানো গ্লাভস ব্যবহার করতে পারবেন।”
কর্মকর্তাদের মতে, প্রতিবার নমুনা সংগ্রহের পর ব্যবহারকৃত গ্লাভস এবং চেয়ার জীবাণুমুক্ত করা হবে।
এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যকর্মকর্তা এবং হাসপাতালগুলিকেও সুরক্ষিত রাখবে কারণ স্কুল বা কলেজ প্রাঙ্গনে বুথগুলো স্থাপন করা হবে।
এটি মানুষের দুর্ভোগও হ্রাস করবে, কারণ করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের ক্রমাগত হটলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করতে হবেনা। তারা স্বেচ্ছাসেবী পরীক্ষার জন্য বুথে যেতে পারবেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যখন চীনে তীব্র আকার ধারণ করছিল, তখন (২৮ জানুয়ারি) আইইডিসিআর প্রথম তাদের সন্দেভাজন কেস পরীক্ষা শুরু করেছিল।
মার্চ অবধি কেবল আইইডিসিআরই বাংলাদেশে কোভিড -১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করার ক্ষমতা রাখে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, পরীক্ষার সুবিধার্থে ঢায়কায় ৯টি এবং অন্য ৫ জেলায়
মোট ১৪ টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি হাসপাতাল সিওলের এইচ প্লাস ইয়াংজি হাসপাতালের বাইরে সর্বপ্রথম এই করোনা টেস্টিং বুথের সুবিধা চালু করা হয়েছিলো।
তথ্যসূত্রঃ The daily star
অনুবাদক/ নাজমুন নাহার মীম