বিএসএমএমইউ’তে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত, হাইকোর্ট নির্দেষ দিলে বাতিল হবে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ আসলে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপরও হাইকোর্টে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সময়ে মিছিল মিটিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো ঠিক নয়। তবে, কোর্টের নির্দেশ আসলে তা ফলো করা হবে।
এর আগে মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার জের ধরে ভিসির অফিস কক্ষ ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ভিসির রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএমএমইউ-এর গেট, গেটের ভেতর ও মূল ভবনের ভেতরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ-এর ভিসি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম করে নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। এখন পুলিশ দিয়ে হামলা করে অনিয়ম ঢাকতে চাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের সঙ্গে সহকারী চিকিৎসকরা আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ তাদের উপরও হামলা চালায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাই আমরা এ ভিসি চাই না, তার পদত্যাগ চাই।
এদিকে দুপুর ২টা পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির কক্ষের সামনে থেকে স্লোগান দিতে দিতে সরে যান। এ সময় তারা জানান, চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এটা স্থায়ীভাবে স্থগিত করা না হলে আন্দোলন চলবে।