সংবাদদাতাঃ অমিত ঘোষ
ছবিঃ মমি আনসারী
“নারীর জন্য নিরাপদ ঢাকা” শ্লোগানে গতবছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হল “ঢাকা উইমেন্স ম্যারাথন ২০১৭”।
গত ১০ মার্চ, শুক্রবার যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে “এভারেষ্ট একাডেমী” এবং “ইমাগো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট লিঃ” । প্রতিযোগীতাটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এসময়ে তিনি বলেন, মেয়েরা এখনও অনেকক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে পিছিয়ে আছে, তবে এগিয়েও এসেছে খানিকটা । প্রতিবছর একাধিকবার এমন আয়োজন করার আহব্বান জানান তিনি।
শুক্রবার ভোর থেকেই বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন হাতিরঝিল এলাকায় । সকাল ৮.২৫ মিনিটে এফডিসি মোড় থেকে শুরু হওয়া এই ম্যারাথনে সর্বনিম্ন ১৬ বছর থেকে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৫০০ জন নারী প্রতিযোগী অংশ নেন ।
এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের এই প্রতিযোগীতাটিকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ এবং আয়োজক ও প্রতিযোগীদের বিভিন্নভাবে সহোযোগীতা করার জন্য গতবছরের ন্যায় এবারও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন হিসেবে উপস্থিত ছিল, বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন “প্ল্যাটফর্ম” এর সদস্যগণ।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনের বিভিন্নধাপ থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতার দিন সকাল ৬ টায় তাদের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিল “প্ল্যাটফর্ম”, যারা ম্যারাথনের দশ কি.মি. এর ২ কি.মি. এলাকার যানবাহন নিয়ন্ত্রন থেকে শুরু করে প্রতিযোগীদের পানি বিতরন সহ প্রতিযোগীতার পুরো সময় ধরে পূর্ন শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া প্রতিযোগীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে “প্ল্যাটফর্ম” এর পক্ষ থেকে ডা. আহমেদুল হক কিরণের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিল মেডিকেল-টিম, যারা পুরো সময় ধরে বিভিন্ন প্রতিযোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয় । জানা যায় এফডিসি মোড় থেকে শুরু করে হাতিরঝিলের বিস্তৃর্ন এলাকা ঘুরে ১০ কি.মি. পথ অতিক্রম করেন প্রতিযোগীরা ।
৯০ মিনিটের এই প্রতিযোগীতায় ১ম স্থান অধিকার করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খেলোয়াড় ‘মিরান’, তিনি সময় নিয়েছেন ৫২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড। ২য় স্থান অধিকার করেন চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের শিক্ষক ‘মৌসুমী আক্তার’ এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন ৪৮ বছর বয়সী ‘ক্রিস্টিয়ান লাকী’ ।
দৌড় শেষে প্রতিযোগীদের পুরষ্কার প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী, জনাব হাসানুল হক ইনু । তিনি বলেন, “মেয়েরা বিভিন্নক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসছে, তা সত্যিই প্রসংশার যোগ্য। ” প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে প্রথম পাঁচজনকে পদক, সনদ এবং বিভিন্ন অংকের অর্থ প্রদান করা হয়, এছাড়াও প্রথম ৫০ জনকে প্রদান করা হয় সনদপত্র ।
উক্ত প্রতিযোগীতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে “প্ল্যাটফর্ম” কে সম্মাননাসুচক “ক্রেষ্ট” প্রদান করা হয় । উক্ত প্রতিযোগীতায় সহোযোগীতার জন্য আয়োজকবৃন্দ “প্ল্যাটফর্ম” এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রধান সমন্বয়ক বনফুল রায় জানান, “এমন একটি অনুষ্ঠানে কাজ করতে পেরে আমরাও গর্বিত, এবং ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনে প্ল্যাটফর্ম পাশে থাকবে।”