যক্ষা একটি সংক্রামক রোগ, যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক জীবাণু। সারা বিশ্বে এই রোগে প্রতি বছর মারা যান ২২ লাখ মানুষ।
“যক্ষা” শব্দটা এসেছে “রাজক্ষয়” থেকে। ক্ষয় বলার
কারন এতে রোগীরা খুব শীর্ণ হয়ে পড়েন। যক্ষা প্রায় যেকোনো অঙেগ হতে পারে। তবে ফুসফুসে যক্ষা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স যক্ষা (Multi drug resistance Tuberculosis- MDR TB) প্রতিকারে WHO প্রদত্ত
নতুন নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ইঞ্জেকশন কানামাইসিন এবং ইঞ্জেকশন সেপ্রোমাইসিন যক্ষা রোগ প্রতিকারে ব্যবহার অনুপযোগী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে “ন্যাশনাল টিউবারকিউলোসিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম,বাংলাদেশ” সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ইঞ্জেকশন কানামাইসিন এর পরিবর্তে ইঞ্জেকশন এমিকাসিন বেশি উপযোগী এবং ব্যবহারযোগ্য।
তাই অনতিবিলম্বে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত সমূহ দ্রুত
বাস্তবায়নে ও প্রয়োগ এর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে:
– নতুন তালিকাভুক্ত ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স সকল রোগীকে
ইঞ্জেকশন এমিকাসিন এর চিকিৎসার আয়োতাভুক্ত করতে হবে।
— যেসব রোগী ইতোমধ্যে ইঞ্জেকশন কানামাইসিন এর চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত তাদের মজুতকৃত কানামাইসিন শেষ হওয়া মাত্র তাদেরকে ইঞ্জেকশন এমিকাসিন এর আওতায় আনতে হবে। ইঞ্জেকশন কানামাইসিন এবং ইঞ্জেকশন এমিকাসিন এর ডোজ সিডিউল একই।
— দীর্ঘমেয়াদী ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স যক্ষা রোগের ব্যবস্থাপনায় ইঞ্জেকটেবল ওষুধ এর পরিবর্তে বেডাকুইলাইন এবং মুখে সেবনের ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
— পরবর্তী ওষুধ সরবরাহের জন্য যথাযথ চাহিদাপত্র
তৈরীর আহ্বান জানানো হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার/নুরুন্নাহার মিতু