সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা (২০১৯-২০) এর ফলাফল। প্রতি বছরই এমন অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহে স্থান অর্জনের সৌভাগ্য লাভ করেন যাদের যথাযথ সামর্থ্য না থাকায় ভর্তি হওয়ার ফি নিয়ে পড়তে হয় দুশ্চিন্তায়। তেমনই একজন মেধাবী মুখ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পান্না আক্তার।
পান্না আক্তার উল্লেখিত পরীক্ষায় সারা দেশে ৬৭২ তম স্থান অর্জন করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে অধ্যয়নের সুযোগ পান। স্থানীয়রা জানায় তার পিতা একজন রিকশাচালক এবং মাতা একজন গৃহপরিচারিকা হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাই দেশের অন্যতম একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও টাকার অভাবে তার মেডিকেলে ভর্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান পান্নার শিক্ষকরা।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন। জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, “ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া ঐ শিক্ষার্থীর ভর্তি হতে যত টাকা লাগবে তার পুরোটাই জেলা প্রশাসন দেবে। এছাড়া সে যে কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে আমি সেই কলেজের সভাপতি হিসেবে পরবর্তীতে আরও সহযোগিতা করব। তার মেডিকেলের ছয় বছরের পড়ালেখার পুরো টাকা সহযোগিতা করতে না পারলেও আমরা সহযোগিতা করব।”
উল্লেখ্য, পান্না ২০১৯ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন। হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা চলাকালীন তার সব ধরনের খরচ বহন করেছে। এছাড়াও এইচএসসি পাশ করার পর তার মেডিকেল কোচিং বাবদ ভর্তি পরীক্ষার অন্যান্য খরচ বহন করেছিলেন একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল ও তার স্ত্রী সহকারী অধ্যাপক বিলকিছ বেগম।
স্টাফ রিপোর্টার / হৃদিতা রোশনী