১ নভেম্বর ২০১৯
পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণে বের হয়েছেন চট্টগ্রামের ছেলে – ডা. বাবর আলী। “সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক” ব্যবহার কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন তিনি এই ভ্রমণে। মোট ৭০ থেকে ৮০ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি এবং এই ভ্রমণে পাড়ি দিবেন তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ।
এই বিষয়ে তিনি লিখেন,
“কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম – ‘হাঁটা জিনিসটা খুব সোজা! হাঁটা মানে পেছনের পা টেনে সামনে নিয়ে আসা!’
স্বল্প দূরত্বে হাঁটা হয়তো সহজ কাজ, সুবিশাল দূরত্বে সেটা যথেষ্ট কঠিন কাজ বলেই আমার ধারণা। সেই কঠিন কাজে হাত তথা পা দিতে চেপে বসেছি পঞ্চগড়ের বাসে। কাল সকাল সকাল পঞ্চগড় পৌঁছে গেলে সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করব। আর বাস পৌঁছাতে দেরি হলে পরদিন থেকে দু’পায়ে যাত্রা।
এত এত মানুষের ভালোবাসায় এমনিতেই সিক্ত। বাসা-বাড়ীতে, হাটে-মাঠে, পথে-প্রান্তরে দেখা হোক আপনাদের সাথে।
সবার দোয়া, ভালোবাসা এবং সহযোগিতা কাম্য।”
হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম বুড়িশ্বর গ্রামে জন্ম, সেখানেই বেড়ে উঠেন বাবর আলী। এসএসসি পাশ করেন সরকারী মুসলিম হাই স্কুল থেকে। এইচ এস সি পাশ করেছেন ইস্পাহানী কলেজ থেকে। অতঃপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করেন। বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরে যোগ দেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে।
বাণিজ্যিকভাবে কায়াকিং শুরু করা কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের ৩ উদ্যোক্তার একজন বাবর আলী। দুই বার সম্পন্ন করেছেন সাইকেলে ক্রস কান্ট্রি রাইড। ২০১৬ সালে আখাউড়া-মুজিবনগরে এবং পরে ২০১৭ সালে টেকনাফ-তেঁতুলিয়ায়। ২০১৭ সালে বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের উত্তরকাশীর নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ভারতের বিভিন্ন রক ক্লাইম্বিং কোর্সে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।
পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শুরু হয় গত ২৫ অক্টোবর, ২০১৯।
১ম দিন
পঞ্চগড় ০ কি.মি. থেকে যাত্রা শুরু করেন বাবর আলী। গন্তব্য ছিল ঠাকুরগাঁও, পাড়ি দিয়েছিলেন ৩৭.৪৭ কি.মি।
২য় দিন
ঠাকুরগাঁও থেকে ভোর ছয়টায় যাত্রা শুরু করেছিলেন বাবর আলী। গন্তব্য ছিল ৪৬.৫০ কি.মি. দূরবর্তী দশমাইল, দিনাজপুর।
৩য় দিন
দশমাইল (দিনাজপুর) থেকে নীলফামারি সৈয়দপুর ও চিকলি বাজার পর্যন্ত হেঁটে যান।
৪র্থ দিন
বাবর আলী ৩৫.২৩ কি.মি. দূরত্ব অতিক্রম করে চিকলি বাজার (নীলফামারী) থেকে রংপুর সদর এসে পৌঁছান।
৫ম দিন
রংপুর থেকে পায়ে হেঁটে লালমনিরহাট হয়ে ইন্দ্রাপাড় পৌঁছান তিনি। অতিক্রান্ত দূরত্ব ৩৪.০২ কি.মি.।
৬ষ্ঠ দিন
ইন্দ্রাপাড় (লালমনিরহাট) থেকে কুঁড়িগ্রাম শহর ও রাজারহাঁট সদর (কুঁড়িগ্রাম জেলা) এসে পৌঁছেন বাবর আলী।
ভ্রমণের মাত্র এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে, পায়ে হেঁটে পার হতে হবে আরো বহুদূর। যাত্রাপথে তিনি আবাসন সংক্রান্ত সহায়তা চেয়েছেন সকলের কাছে৷
তথ্যসূত্রঃ ডাঃ বাবর আলী
প্রতিবেদক/ সুবহে জামিল সুবাহ