১০ অক্টোবর ২০১৯ দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় “কোচিং সেন্টারের কারসাজিতে সরকারি মেডিকেলে ভর্তি” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির জবাবে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তাতে বলা হয় “বিগত বছরসমূহে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতির সুনাম সর্ব মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত সংবাদটি ২০১৯-২০ সেশনের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন প্রথম আলোতে প্রকাশিত হওয়ায় ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমান মহাপরিচালকের আমলে বিগত তিনটি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কেবলমাত্র প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে। সকলের শ্রদ্ধাভাজন, সৎ ও স্বনামধন্য চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ও নজরদারিতে তথ্য প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মূদ্রণ, পরিবহন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফল প্রস্তুতি ইত্যাদি কার্যক্রম অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্যাকেটবদ্ধ অবস্থায় যে ওএমআর শীটগুলো আসে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন অধ্যাপকের নেতৃত্বে একটি দল ও মডারেটরগণ বের করে স্ক্যান করে আবার প্যাকেটে ঢোকান। অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একটি দল পৃথকভাবে একই সাথে স্ক্যানিং এবং ফল প্রস্তুত করে। সব দিক থেকে নির্ভুল ফল প্রস্তুত হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফল প্রকাশ করা হয়। কাজেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় যে কোন সিন্ডিকেটের উপস্থিতি বা পরীক্ষায় যে কোন ধরণের জালিয়াতি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রতিটি স্তরেই গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙখলা বাহিনীর সদস্যগণ সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকেন। পরীক্ষা গ্রহণের সময় এ ধরণের কোন অভিযোগ কেউ দেননি। একজন সরকারি চিকিৎসক আলোচ্য কোচিং সেন্টারটির উদ্যোক্তা এ বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরে এসেছে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রথম আলো পত্রিকা প্রতিবেদনটি তৈরির সময় আলোচ্য ভর্তি পরীক্ষাগুলো গ্রহণের সংগে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মন্তব্য নিলে প্রতিবেদনটিতে প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন ঘটতো।
সবশেষে বলতে চাই যে, ২০১৯-২০ সেশনের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠ, নির্ভুল ও স্বচ্ছতার সাথে গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোনরূপ সন্দেহ বা কথিত কারসাজির বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।”
তথ্যসূত্র: মেডিকেল এডুকেশন বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্টাফ রিপোর্টার/ ফাহমিদা হক মিতি