২৯ নভেম্বর ২০১৯
ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার শাস্তিস্বরূপ গতকাল ২৮/১১/১৯ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ আশরাফুল ইসলাম (লিমন) কে সদর হাসপাতাল সিরাজগঞ্জ, এ বদলির সিদ্ধান্ত জানায়।
এদিকে উক্ত ঘটনার যথাযথ শাস্তির দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেন। তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে তালা লাগিয়ে সাধারণ অবস্থান নেন এবং ঘোষণা দেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর ২০১৯ সান্ধ্যকালীন সময়ে কর্তব্যরত অবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাবরিনা অনন্যা ও ডা. মোছাঃ ফাতেমা আক্তার এবং একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ আশরাফুল ইসলাম (লিমন) এর মধ্যে কোন এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে অত্র হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোঃ শাহাদাত হোসেন পৌঁছে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু পরদিন ২৬/১১/১৯ ইং তারিখ সকাল ০৯ ঘটিকার সময় ডেন্টাল ইউনিটে কর্তব্যরত অবস্থায় ডা. ফাতেমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ আশরাফুল ইসলাম। একই সময়ে ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলামকে ঐ একই ব্যক্তি শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এমতাবস্থায় জরুরী পরিস্থিতিতে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবীর উপস্থিতিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডা. ফাতেমা এবং সেই সিনিয়র স্টাফ নার্সের জবানবন্দী নেয়া হয়। সভায় সকলের উপস্থিতিতে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (লিমন), সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার করা স্বীকার করেন।
সকল চিকিৎসকগণ এবং সেবা তত্ত্বাবধায়কসহ নার্সিং সুপারভাইজরগণের সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (লিমন), সিনিয়র স্টাফ নার্সকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে (রংপুর বিভাগের বাহিরে) অতিসত্ত্বর বদলি করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষে এ সুপারিশ করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার /নাজমুন নাহার মীম