৯ ডিসেম্বর ২০১৯
সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য সচিব ও অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিবের উপস্থিতিতে চিকিৎসকগণের মাঝে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি ও পদসংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রাণবন্ত আলোচনা সম্পন্ন হয়। ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সকাল ১০.৩৮ থেকে দুপুর ১২.৫০ পর্যন্ত এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভার কিছু চুম্বক অংশ:
৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে সর্বমোট ১২ জন কনসালটেন্ট (পূর্বের ১০ জন, নতুন ১ জন ডেন্টাল কনসালটেন্ট ও ১ জন জনস্বাস্থ্য কনসালটেন্ট) ও ১৩ জন মেডিকেল অফিসার এর পদ সৃজনের ব্যাপারটি যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে সর্বমোট ৫ জন কনসালটেন্ট ও ১৩ জন মেডিকেল অফিসার পদ সৃজন এর প্রস্তাব সমর্থন করা হয়েছে।
জুনিয়র কনসাল্টেন্ট পদের নাম পরিবর্তন করে কনসাল্টেন্ট নামকরণের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
বিভিন্ন বেড সংখ্যার হাসপাতালের একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নের জনবল প্রস্তাব করতে হবে, যেন কোন হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধি হলে তার জন্য আলাদা অর্গানোগ্রাম করতে না হয়, পরিবর্তিত শয্যা যে সংখ্যার হাসপাতালে পরিবর্তিত হবে, স্টান্ডার্ড জনবলও উক্ত হাসপাতালের জন্য প্রযোজ্য হবে।
৬ষ্ঠ গ্রেড সমমর্যাদার পদ সৃজন যা পরবর্তীতে ইউএইচএফপিও পদে প্রমোশনের ধাপ হিসেব বিবেচিত হবে এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি ছাড়া কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতির প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল সোসাইটির সক্ষমতাও আলোচনায় উঠে এসেছে, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদসংখ্যা বৃদ্ধির মাত্রায় ভিন্নতা হবে বলে জানা যায়।
১৯৮৩ এ সৃজিত পদ অপেক্ষা ১৭-১৮ টি ২০০৮ এ কেন কমে গিয়েছিল তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, জেলা হাসপাতাল (২৫০/২০০/১৫০/১০০ বেড) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (৩১/৫০ বেড) নিয়েই এই আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল। প্রস্তাবিত সর্বমোট জনবল যেন প্রকৃতভাবেই কার্যকরী হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা প্রস্তাবনার পরামর্শ দিয়েছেন সচিব মহোদয়। একইসাথে যৌক্তিক ও রাষ্ট্রের আর্থিক সামর্থ্য তথা বাজেট বরাদ্দের যে ধারাবাহিকতা রয়েছে, সেদিক লক্ষ্য রেখে ধাপে ধাপে আগানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (২২তম বিসিএস)
প্রতিবেদন/সামিউন ফাতীহা