প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার
ভেজাল ও নকল ঔষধ অসংখ্য মানুষের প্রাণনাশের কারণ হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু ঔষধই ভুয়া নয়, আছে ভুয়া কোম্পানিও যাদের মাধ্যমে নকল ঔষধ ছড়িয়ে পড়ছে হাট বাজার সহ ঔষধের দোকানেও। বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও বাজার থেকে নকল ঔষধ নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার এর অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তমালের বরাতে জানা যায় যে, নিজের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে তিনি দুই দিন যাবৎ কিছু Inj. Toradolin (রেডিয়ান্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের কেটোরোলাক) হাতে পান (২ নং ছবি)। দৃশ্যত লেখাটা হালকা এবং এম্পুলগুলো ভাঙা যাচ্ছিল না। অথচ সাধারনত টোরাডলিন এম্পুল ব্লু ডট বরাবর হালকা চাপেই ভাঙা যায় (১ নং ছবি)। সন্দেহ হওয়াতে তিনি ফার্মেসী ইনচার্জকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে কোন এক পল্লী চিকিৎসক থেকে কিছুটা কমদামে পাওয়াতে সে সরল বিশ্বাসে ২০ এম্পুল টোরাডলিন কিনেছে।
ব্যথানাশক হিসেবে এই টোরাডলিন বেশ নির্ভরযোগ্য একটা ঔষধ। তাই ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তমাল সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন এ বিষয়টাতে ভালভাবে নজরদারি রাখার জন্য।