গত ৪ অক্টোবর প্রকাশিত এক সংবাদের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফুটবল বিশ্বের অন্যতম পরিচালক সংস্থা ফিফার মধ্যে ‘ফুটবলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন’ সংক্রান্ত চার বছরের একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাইরেক্টর জেনারেল ড. টেডরোস আধানম গিব্রিয়াসুস এবং ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো WHO-র জেনেভায় অবস্থিত হেড-কোয়ার্টারে এই সমঝোতা স্বারকে সাক্ষর করেন।
ড. টেডরোস বলেন যে, “‘WHO’ ফিফার সাথে কাজ করা নিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছে। আমাদের দলবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে বিশ্বের জনসংখ্যার বড় একটি অংশের কাছে সুস্থভাবে দীর্ঘদিন কিভাবে বেচে থাকা যায় সেই বার্তা সহজেই পৌছানো যাবে।”
অন্যদিকে মিঃ ইনফান্তিনো জানান যে, “WHO-র সাথে মিলিতভাবে এই কাজে যুক্ত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি বিষয়। ফুটবল একটি অসাধারন ও সার্বজনীন ভাষা।
এর মাধ্যমে আমরা আমাদের যৌথ প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক স্বাস্থ্যখাতে ব্যবহার করতে চাই। এর সাথে পুরো বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে চাই।”
যে ৪ টি খাতে চুক্তিগুলো হয়েছে তা হচ্ছেঃ
১. ফুটবলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থা প্রচার করা।
২. ফিফার ইভেন্টগুলো তে তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, ন্যাশনাল ফুটবল ফেডারেশন কে তামাকমুক্ত পরিবেশনীতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা, এমনকি স্টেডিয়ামগুলোর ভিতরেও একই নীতি বজায় রাখা ইত্যাদি। একইসাথে ফিফার স্বাস্থ্য সমন্ধীয় বিষয় গুলো তে WHO-র সরাসরি তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা।
৩. স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ইস্যুতেও ফিফার ইভেন্টগুলো যেন সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যাপারেও নজর দেয়া হয়েছে।
৪. WHO-র তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে প্রোগ্রাম করে ফুটবলের মাধ্যমে শরীরচর্চা ইত্যাদি কার্যক্রম বাড়ানো, জাতীয় বিভিন্ন সংস্থা, WHO-র শুভেচ্ছাদূত দের নেটওয়ার্ক, ফুটবল খেলোয়াড়, কোচ এবং ভলান্টিয়ার দের নিয়ে কাজ করে এই শরীরচর্চার বিষয় টি সবার মধ্যে বাড়ানো যেতে পারে।
WHO ফিফা কে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ইস্যু যেমন, স্টেডিয়াম এ তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও, WHO এবং ফিফা ইতিমধ্যেই ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোতে তামাক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে পরস্পর সম্মত হয়েছে।
যাতে করে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে রোগ প্রতিরোধে তাদের এই যৌথ উদ্যোগ ভূমিকা রাখতে পারে।
দুটি সংস্থার এভাবেই পরস্পর কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবার্তা সারা বিশ্বের সব মানুষ এর কাছে পৌছে দেয়া এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার/লাইবা ইসাবেলা