আজ ১০ ই অক্টোবর, “বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস”।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়:
“মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ”
দিবসটি প্রথম উদযাপন করে ‘World Federation for Mental Health, A global mental health Organization’ ১৯৯২ সালে।
একজন মানুষকে আপনি পুরোপুরি সুস্থ তখনি বলতে পারবেন যখন সে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উভয় দিকেই সাম্যাবস্থায় আছেন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে, একজন মানুষের মানসিক অবস্থা কি স্থিতিশীল নাকি অস্থিতিশীল। দৈনন্দিন জীবনে নানান কাজের জন্য অনেক মানুষই মানসিক চাপে থাকেন যা প্রায়ই তাদের মানসিক অস্থিরতার সৃষ্টি করে থাকে। এতে তাদের স্বাভাবিক আচরণে হয়তো কিছুটা পরিবর্তনও আসে। কিন্তু এই মানসিকভাবে অস্থিরতাকে আমরা মানসিক ভারসাম্যহীনতা বলতে পারবো না। কিন্তু একজন মানুষ যদি অবিরত তার স্বাভাবিক আচরণ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে, সেটা হতে পারে Depression (হতাশা) বা অন্যান্য কারণ থেকে তবে অবশ্যই ব্যাপারটি তার কাছের মানুষজনকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
Regular Mental Instabilities may lead to Depression। আর একজন Depressed/হতাশাগস্থ মানুষ অনেকসময় তার হতাশা মুক্তির পথ হিসেবে Suicide (আত্মহত্যা) বেছে নেয়। আর Depression থেকে আত্মহত্যা কখনোই কাম্য নয়। আপনার কিছু মূল্যবান সময় হয়তো আপনার কাছের মানুষটিকে এরকম ভয়ানক চিন্তা প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৭ সালের ৭ই এপ্রিল অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে “Depression Let’s talk” শিরোনামের মাধ্যমে বিষয়টির ওপর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই শিরোনামের উদ্দেশ্য আমারা সাধারণ জনগণ যাতে আমাদের আশেপাশের মানুষজন কে মানসিক ভাবে সহায়তা করতে পারি আলোচনার মাধ্যমে।
আত্মহত্যা প্রবণতার হয়তো অনেক কারণ থাকে কিন্তু এত অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরাহয় হতাশা/ডিপ্রেশন। আমরা যদি এই একটা বিষয়েও নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি,হয়তো পুরোপুরিভাবে না কমাতে পারলেও, কাউকে না কাউকে তাদের প্রয়োজনের সময় সাহায্য করতে পারবো।
So Our Humble request is: “Listen to your near and dear ones. Mental support can certainly save lives by preventing Suicidal Tendency.”
নাজমুন নাহার মীম