প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চল্লিশতম অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ গতকাল ৩১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অবসর গ্রহণ করেছেন।
তিনি ওয়েস্ট ইন্ড হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ কে- ৩৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস কলেজ থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে ফেলোশিপ অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনে এমডি অর্জন করেন এবং ১৯১৯ সাল অবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে প্রফেসর ডা. খান আবুল কালাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০ তম অধ্যক্ষ হিসাবে নিযুক্ত হন এবং তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
তিনি আমেরিকান কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এর ফেলো চিকিৎসক এবং পরবর্তীতে একই প্রতিষ্ঠান হতে মাস্টার্সশিপ লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জন এর কাউন্সিলর। বিসিপিএস এর নির্বাহী কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিল এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। জাতীয় গবেষণা নীতি কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এর কাউন্সিলর এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য। প্রধান প্রশাসক (প্রশাসন ও অর্থ), বাংলাদেশ রাজ্য মেডিকেল অনুষদ। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রাক্তন সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ রিউম্যাটোলজি সোসাইটি।
এছাড়াও তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের জার্নাল, বাংলাদেশ কলেজ অফ চিকিৎসক ও সার্জনস জার্নাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল এর নির্বাহী সম্পাদক। উপদেষ্টা সদস্য, সোসাইটি অফ মেডিসিনের জার্নাল।
অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ তাঁর দীর্ঘ জীবনে অর্জন করেছেন অনেক অনেক সাফল্য। সারা জীবন ব্যয় করেছেন মানবতার সেবায়, মানুষের কল্যাণে। শিক্ষকতা করেছেন জীবনের অনেকগুলো বছর। বলেছেন ছাত্র এবং শিক্ষকের সম্পর্কের কথা। তিনি বলেন- “I am not your master. I am your teacher. I am your friend. I wil be regarded as a teacher when my students smile at me.”