বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার কিশোরী মুক্তামনি ভালো আছে। সোমবার তার বায়োপসির প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান।প্রতিবেদন দেখার পর চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে। এজন্য আজ মঙ্গলবার ফের মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসছে বলে জানান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি আরো জানান ‘ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চিকিৎসদের বোর্ড মিটিং হবে। সেখানে বায়োপসি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’
সামন্ত লাল আরও বলেন, ‘বায়োপসির পর মুক্তামনির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ে কিছুটা শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। সেটি বন্ধ হয়েছে, এখন সে আইসিইউতে মোটামুটি ভাল আছে।’
মেয়ের অবস্থা সম্পর্কে বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, মুক্তামনির শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন- আপাতত কোনো সমস্যা নেই। খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতই করছে।
তিনি বলেন, ‘বায়োপসির পর অনেক রক্ত বের হতে দেখে সে ভয় পেয়েছিল। কিছুটা ব্যথাও পেয়েছিল। এজন্য বাড়ি যাওয়ার কথা বলছিল।’
এর আগে গত শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে ১৩ সদস্যের চিকিৎসক দল মুক্তামনির বায়োপসি সম্পন্ন করেন।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডান হাত ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নেয়। এতে পচন ধরে এবং পোকা জন্মে। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকতো মুক্তামনি।
সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।