প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৭ নভেম্বর, ২০২০, শুক্রবার
আজ ২৭ নভেম্বর, ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩০তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ।
ডা. মিলন ছিলেন সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্মসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক। ১৯৯০ সালের আজকের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঘাতকের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহীদ হন ডা. মিলন। তাঁর রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকারের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তাঁরা। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনসহ শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে আছে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ডা. মিলনের কবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কবর জিয়ারত, সূরা ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, আলোচনা সভা।
এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর কর্মসূচিতে রয়েছে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ প্রভৃতি। বিএমএ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, “শহীদ ডা. মিলন ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী এক সৈনিক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। মিলন গণতন্ত্রের শক্তি”।
সেই ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছর শহীদ ডা. মিলন সংসদ ২৭ নভেম্বর শহীদ মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মিলন হত্যার দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা যায়নি এখনো।